ভারতে এখন থেকে জনগণনার পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবে ‘জাতগণনা’ও পরিচালিত হবে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) মোদি সরকারের মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক কমিটি এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, জাতগণনার তথ্য আলাদাভাবে প্রকাশ করা হবে না। পরবর্তী জনগণনার সঙ্গে এই তথ্য একত্রে প্রকাশিত হবে বলে সরকার জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজনৈতিক কমিটির বৈঠকের পর রেল ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘আজ মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আগামী জনগণনার সঙ্গে জাতগণনার তথ্যও সংযুক্ত করা হবে।’
অশ্বিনী জানান, কিছু রাজ্য জাতভিত্তিক তথ্য সংগ্রহের জন্য সমীক্ষা চালিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, সব রাজ্যে এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি। কিছু রাজ্য ভালোভাবে সমীক্ষা করলেও, অন্য রাজ্যগুলোর সমীক্ষায় অস্বচ্ছতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। এর ফলে সমাজে বিভ্রান্তি ও ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতির কারণে সমাজের শান্তি ও শৃঙ্খলা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমীক্ষার পরিবর্তে জাতগণনার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অশ্বিনীর বক্তব্য, কংগ্রেসের শাসনামলে জাতগণনার বিষয়ে বরাবরই আপত্তি ছিল। ২০১০ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, জাতগণনার বিষয়টি মন্ত্রিসভায় বিবেচনার যোগ্য। সে অনুযায়ী, কয়েকজন মন্ত্রী নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তখন বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল জাতগণনার পক্ষে মত দিয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন কংগ্রেস সরকার জাতগণনার পরিবর্তে শুধু একটি জাতিভিত্তিক সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
