রবিবার, জুন ৮, ২০২৫
প্রচ্ছদ্ধসারাদেশফেনীতে থাইল্যান্ডের নারীকে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার

ফেনীতে থাইল্যান্ডের নারীকে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার

spot_img
spot_img

ফেনীতে থাইল্যান্ডের এক নাগরিককে (৪০) ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে মোখসুদুর রহমান (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর সোমবার (১৪ এপ্রিল) তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মোখসুদুর রহমান ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের নোয়াবাদ মুসলিম মেম্বার ভূঁইয়া বাড়ির মৃত আব্দুর রবের ছেলে।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, ভুক্তভোগী নারী জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও বর্তমানে থাইল্যান্ডের নাগরিক। ২০২০ সালে হংকংয়ে তিনি একটি মুদির দোকান পরিচালনা করতেন। সেখানে মোখসুদুর রহমানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় এবং মোখসুদুর তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। তারা একসঙ্গে একটি ব্যবসা শুরু করেন। ভুক্তভোগী নারী মোখসুদুরকে ব্যবসা ও বাংলাদেশে জমি কেনার জন্য ২ লাখ ১০ হাজার হংকং ডলার এবং কিছু স্বর্ণালঙ্কার দেন। মোখসুদুর হংকংয়ে ভিসা সমস্যার কারণে কারাগারে গেলে ভুক্তভোগী তাকে মুক্ত করেন।

সূত্রমতে, কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে মোখসুদুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন, তবে তাদের যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। মোখসুদুর তাকে স্ত্রী হিসেবে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে পরিচয় করান। গত বছরের ২২ মার্চ বিয়ের প্রলোভনে ভুক্তভোগী প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন। এরপর গত বছরের ১২ অক্টোবর মোখসুদুর তাকে আবার বাংলাদেশে এনে নিজের বাড়িতে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল ভুক্তভোগী ফেনীতে মোখসুদুরের বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় তার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয়, যেখানে তাদের ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য ছিল বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ১৪ এপ্রিল ভুক্তভোগী নারী ফেনী মডেল থানায় মোখসুদুর রহমানের নামে এবং অজ্ঞাত দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোখসুদুরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুজ্জামান জানান, প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।

আরো পড়ুন
- বিজ্ঞাপন -

সর্বাধিক পাঠিত