রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
প্রচ্ছদ্ধসংবাদপূজা উদযাপন পরিষদের এক কর্মকর্তার আমন্ত্রণে গান করেছিলেন শিল্পীরা: পুলিশ

পূজা উদযাপন পরিষদের এক কর্মকর্তার আমন্ত্রণে গান করেছিলেন শিল্পীরা: পুলিশ

spot_img
spot_img

চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির শিল্পীরা জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপের মঞ্চে গান করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনসের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ঘটনায় শহীদুল করিম খান ও নুরুল ইসলাম নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তারা দু’জন শহীদ তানজীমুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদ্রাসা ও নুরুল ইসলাম দারুল ইরফান একাডেমির শিক্ষক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘জেএমসেন হলের মণ্ডপে পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয়জন শিল্পী গান গেয়েছিলেন। সেই গানের কিছু কথা উপস্থিত মানুষদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করেছে। ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও আটক করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া তাদের সেখানে যিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে এখনো তাকে পাইনি।’
মো. রইছ উদ্দিন আরও বলেন, ‘দুর্গোৎসবের মঞ্চে সংগীত পরিবেশনের পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কিনা সেগুলোও আমরা খতিয়ে দেখছি।’ আটককৃতদের কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটিও তদন্তে আসবে।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার রইছ বলেন, ‘দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে শিল্পীদের মাধ্যমে সন্ধ্যার পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন পূজামণ্ডপে আসেন এবং অনুষ্ঠান উপভোগ করতে থাকেন। ইতিপূর্বে পূজা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দত্ত চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির একদল শিল্পীকে অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করার জন্য অনুরোধ করেন। তার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার সময় ওই শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য শহীদুল করিম, মো. নুরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ ইকবাল, রনি, গোলাম মোস্তফা ও মো. মামুন পূজার অনুষ্ঠানে আসেন এবং একটি ইসলামিক গজল ও একটি বাউল গান পরিবেশ করেন। এর মধ্যে একটি গানের ভাষায় শব্দচয়ন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বলে প্রতীয়মান হয়েছে।’

আরো পড়ুন
- বিজ্ঞাপন -spot_img

সর্বাধিক পাঠিত