দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক থাকার পর খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার আত্মসমর্পণ করেছেন।
সোমবার (১৭ জুন) তিনি খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে এসে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমাম জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর জিল্লুর রহমান খান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিসকো সাত্তার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নুর মোহাম্মদের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি ২০ বছর ধরে পলাতক ছিলেন।
জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাবের কাছে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় নিহত হন সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা।
ট্রাইব্যুনালের সহকারী মাজাহারুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরে আদালতে হাজির হন ডিসকো সাত্তার। তিনি ওকালতনামায় উল্লেখ করেন, জীবিকার প্রয়োজনে খুলনার বাইরে থাকায় রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি এবং রায় সম্পর্কে তিনি জানতেন না।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর ১৭ জানুয়ারি ২০০৪-এ খুলনা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক রণজিৎ কুমার দাস বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, তৎকালীন ওসি মোশাররফ হোসেন, ২০০৪ সালের ২০ জুন চার্জশিট জমা দেন। চার্জশিট দেওয়ার পর থেকে ডিসকো সাত্তার পলাতক ছিলেন।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর আদালত রায় ঘোষণা করে। মামলায় নয়জন আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন: সুমন ওরফে নুরুজ্জামান, বুলবুল ওরফে বুলু, আকরাম হোসেন ওরফে বোমা আকরাম, আলী আকবর সিকদার ওরফে শাওন, আব্দুস সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেল্লাল, মিঠুন ওরফে মিটুল, শওকাত হোসেন ওরফে সাকা এবং সরোয়ার হোসেন ওরফে সরো।
মামলায় দুজন খালাস পান। তারা হলেন হাই ইসলাম ও ওমর ফারুক ওরফে কচি।
