দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) তুহিন ফারাবি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক গাজী সালাহ উদ্দিন ফারাবির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়া, একই আন্দোলনের অপর সমন্বয়ক হাজী সালাউদ্দিন তানভিরের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ ও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির জন্য তদবির করে অবৈধভাবে অর্থ আয়ের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে।
রোববার (২৭ এপ্রিল ২০২৫) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক মহাপরিচালক এবং মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন বলেন, “দুদক আইনের আওতায় এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। অচিরেই এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানো হবে।”
জানা গেছে, মোয়াজ্জেম হোসেনকে গত ১৪ আগস্ট ২০২৪ এপিএস হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। দুর্নীতির অভিযোগে ২২ এপ্রিল ২০২৫ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, মোয়াজ্জেম স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে, তুহিন ফারাবি ২ অক্টোবর ২০২৪ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও হিসেবে নিয়োগ পান এবং দুর্নীতির অভিযোগে তাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এই তদন্তের মাধ্যমে দুদক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অর্থের অপব্যবহার এবং অনৈতিক কার্যক্রমের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছে।
