মঙ্গলবার, জুলাই ১, ২০২৫
প্রচ্ছদ্ধআন্তর্জাতিকদিল্লির ক্ষমতার পালাবদল: ২৭ বছর পর বিজেপির জয়

দিল্লির ক্ষমতার পালাবদল: ২৭ বছর পর বিজেপির জয়

spot_img
spot_img

দীর্ঘ ২৭ বছর পর দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) আবারও ক্ষমতায় ফিরেছে। আম আদমি পার্টির (এএপি) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৪,০৮৯ ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থী প্রবেশ সাহিব সিং ভার্মারের (৪৭) কাছে পরাজিত হয়েছেন।

গত বুধবার দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকালে ভোট গণনা শুরুর ছয় ঘণ্টা পর স্পষ্ট হয়ে যায়, বিজেপি ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টিতে এগিয়ে রয়েছে, আর এএপি এগিয়ে রয়েছে ২২টি আসনে। কংগ্রেস এ নির্বাচনে কোনো আসন পায়নি বলে প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে।

ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, বিজেপি ৪৭টি আসনে জয় পেয়েছে এবং একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, এএপি ২২টি আসনে জয়ী হয়েছে। দিল্লির বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ৩৬ আসনের বেশি পাওয়ায় বিজেপি ২৬ বছর পর বড় জয় নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছে।

২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এএপি ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছিল, যেখানে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৮টি আসন। তবে এবারের নির্বাচনে এএপির বড় পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।

এএপির হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে কেজরিওয়ালের পাশাপাশি সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী মনিশ সিসৌদিয়াও পরাজিত হয়েছেন। তবে দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ও এএপি নেত্রী আতিশী মালের্না তার আসনে জয় পেয়েছেন।

নির্বাচনে পরাজয়ের পর এক ভিডিও বার্তায় কেজরিওয়াল জনগণের রায়ে মাথা পেতে নেওয়ার কথা বলেন এবং বিজয়ী বিজেপিকে অভিনন্দন জানান। তিনি আরও বলেন, টানা ১০ বছর সরকারে থাকার পর এখন তারা গঠনমূলক বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করবেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়া’ জোটের দুই শরিক দল, এএপি ও কংগ্রেসের মধ্যে সমন্বয়হীনতাই নির্বাচনে এএপির বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। এ নির্বাচনে কংগ্রেস কোনো আসন না পেলেও, তাদের সঙ্গে জোট থাকলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

দিল্লির যে আসন থেকে কেজরিওয়াল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, সেখানে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন সন্দীপ দীক্ষিত, যিনি দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে। ২০১৩ সালে কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন এএপির কাছে শীলা দীক্ষিত পরাজিত হয়েছিলেন। এবার সন্দীপ দীক্ষিত ৪,৫৬৮ ভোট পেয়েছেন, যা কেজরিওয়ালের পরাজয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। কারণ কেজরিওয়ালের পরাজয়ের ব্যবধান ৪,০৮৯ ভোট।

অরবিন্দ কেজরিওয়াল ২০১৩-১৪ এবং ২০১৫-২০২৪ সাল পর্যন্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে এবারের নির্বাচনে এএপির পরাজয় দিল্লির রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

আরো পড়ুন
- বিজ্ঞাপন -

সর্বাধিক পাঠিত