ভৈরবে ক্রমবর্ধমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে ভিন্নধর্মী প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। ছিনতাই রোধে পুলিশের ব্যর্থতায় তারা শাড়ি ও চুড়ি হাতে থানায় গিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং তিন দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন।
শনিবার বিকেলে দুর্জয় মোড়, ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘ছিনতাইবিরোধী যুবসমাজ’ ব্যানারে আয়োজিত হয় প্রতিবাদ সমাবেশ। বিক্ষোভ শেষে ছাত্র ও যুবনেতারা থানায় গিয়ে ওসির সঙ্গে দেখা করে শাড়ি-চুড়ি হস্তান্তর করেন এবং আলটিমেটাম দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রনেতা আজহারুল ইসলাম রিদম, নুরে আলম নিলয়, মাওলানা শাহরিয়ার মোস্তাফা, রিয়াদ ইসলাম ও হান্নান আহমেদ হিমুসহ অন্যান্যরা।
আজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা ভৈরবে নিরাপদ বোধ করছি না। আজ সকালেও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ছিনতাই হচ্ছে। পুলিশ তা দমন করতে ব্যর্থ। আমরা পুলিশের জন্য象কভাবে শাড়ি-চুড়ি এনেছি। ছিনতাই বন্ধ না হলে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে শাড়ি-চুড়ি উপহার দেওয়া হবে।
নুরে আলম নিলয় জানান, আমরা কয়েক মাসের মধ্যে আটবার ছিনতাইবিরোধী কর্মসূচি করেছি। এরপর আর সমাবেশ নয়। এবার ছিনতাই রোধে ব্যর্থ হলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচিতে যাব।
জানা যায়, শনিবার ভোর পৌনে ৬টায় পৌর কবরস্থানের সামনে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে যাওয়া এক পরিবার ছিনতাইকারীদের হাতে পড়ে। তারা মারধরের শিকার হয়ে সর্বস্ব খোয়ান। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য খারাপ আচরণ করেন। এরপর ভুক্তভোগী ফারদিন খান ফেসবুকে বিষয়টি প্রকাশ করলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। বিকেলে সেই ঘটনার প্রতিবাদেই রাস্তায় নামে ছাত্র ও যুবসমাজ।
ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানি জানান, এই ঘটনার পর নাঈম মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্যান্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তিনি বলেন, থানায় মিছিল নিয়ে আসাটা অনাকাঙ্ক্ষিত, তবে দ্রুত ছিনতাই বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
