গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার। পালিয়ে বেরাচ্ছে তার সন্ত্রাসী। কিন্তু তার মাঝেই মানুষ পরিবর্তন হলেও একই কায়দায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাদাবাজী এবং দখল করে চালাচ্ছে নতুন কিছু চাদাবাজরা।
নগরীর লালখান বাজার এলাকায়ও দেখা মিলেছে খোলস পাল্টে আ.লীগ থেকে বিএনপি বনে যাওয়া এক চাদাবাজ এর। ফারুক উরফে বাশি ফারুক দীর্ঘদিন যাবত লালখান বাজার এলাকার আ.লীগ এর সাধারন সম্পাদক ও নিউ মার্কেট ছাত্রদের উপর গুলি ছড়া এবং গণহত্যা মামলার আসামী দিদারুল আলম মাসুমের গ্রুপের রাজনিতির সাথে সক্রিয় ছিলো। কিন্তু ২০২১ সালে কাউন্সিলর নির্বাচনের সময়ে লালখান বাজারের সাবেক কাউন্সিলর ও গণহত্যা মামলার আসামী আবুল হাসনাত বেলাল এর রাজনিতির সাথে সক্রিয় ছিলো ফারুক। পরে ফ্যাসিস্ট সরকার পরিবর্তন হলে নিজেকে বিএনপির কর্মি হিসেবে দাবি করতে থাকে ফারুক।
এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট লালখান বাজার মোড়ে ছাত্রদের উপর হামলাও করে এই ফারুক উরফে বাশি ফারুক। ৫ আগস্ট সকালেও লালখান বাজার মোড়ে ধাড়ালো অস্ত্র নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো সে। পরবর্তিতে ফ্যাসিস্ট সরকার পদত্যাগের সাথে সাথে নিজের আত্নীয়দের মদদে বিএনপির আনন্দ মিছিলেও যোগ হয়ে যায় সে। তারপরে নিজেকে বিএনপি দাবি করা শুরু করে এলাকার বিভিন্ন মানুষকে হুমকি ধামকি ও চাদাবাজিও শুরু করে ফারুক উরফে বাশি ফারুক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসী জানায়, সে সরকার পাল্টানোর দিনেও আ.লীগ এর মিছিলে গিয়েছিলো। কিন্তু তার কিছুক্ষন পরেই তাকে বিএনপিতে হয়ে যেতে দেখি। তারপর থেকেই সে এলাকাতে বিভিন্ন মানুষকে হুমকি দিয়ে চাদা দাবি করতে থাকে।
অপরদিকে, কোন রাজনিতির সাথে জড়িত না থেকেও নিজেকে বর্তমানে বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মি হিসেবে দাবি করছে আমির উরফে মাছ কাটা আমির। দীর্ঘদিন যাবত কোন ধরনের রাজনিতির সাথে জড়িত ছিলো না সে। নিজেকে বর্তমানে সে নিজেকে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম শাহ আলমের কর্মি হিসেবে পরিচয় দেয়।
জানা যায়, ইলিয়াস নামের এক ডিম ব্যবসায়ীকে গত ১৬ জুলায় নগরীর ষোলশহরে এক পথচারীর হত্যা মামলায় মিথ্যা আসামী করা হয় তাকে। এবং পরবর্তী তার ডিম ব্যবসাটি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে আমির-ফারুক।
গত ১৩ আগস্ট লালখান বাজার হাইলেভেল রোড এলাকায় এক গাড়ি চালক কে মারধরের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারন ডায়েরিও করা হয়।
জানা যায়, হাইলেভেল রোডে চা খেতে গেলে পূর্ব এক কথা কাটাকাটির জেড়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে ফারুক। এক পর্যায়ে তাকে এসে কোন কথা ছাড়া মারধর শুরু করে দেয় আমির উরফে মাছা কাটা আমির। পরবর্তীতে ফারুক একটি লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে মনির হোসেন নামের ঐ ড্রাইবার কে।
পরবর্তীতে খুলশী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে ড্রাইবার মনির হোসেন।