ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নৈতিক স্খলনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে কি না, সে বিষয়ে এক কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে অভিযোগটি উত্থাপন করেন।
অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়া অপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
একটি ফোনালাপের সূত্র ধরে অভিযোগটি উঠে আসে, যেখানে দুই পক্ষের মধ্যে চাঁদার পরিমাণ নিয়ে দরকষাকষি হচ্ছিল। প্রথমে অভিযুক্ত অপু ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন, তবে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী জানান, এ পরিমাণ বেশি এবং তিনি অফিস থেকে তা দিতে পারবেন না। তখন ব্যবসায়ী ২০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন, কিন্তু অপু ৩০ হাজার টাকা দাবি করে বলেন, ‘যদি সম্ভব হয়, টাকা নিয়ে দেখা করুন।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়া অপু বলেন, ‘আমি অভিযোগের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য প্রস্তুত করছি, এখনই কিছু বলতে চাই না।’
সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘সাংগঠনিক নীতি লঙ্ঘন ও নৈতিক স্খলনের কারণে গোলাম কিবরিয়া অপুর সদস্যপদ স্থগিত করা হলো। একই সঙ্গে তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে আহ্বায়ক বরাবর এক কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।’
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান বলেন, ‘আমরা ফেসবুকে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাই। প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে এবং তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানান, ‘গোলাম কিবরিয়া অপুর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য হাউস টিউটর ও প্রক্টরিয়াল টিম কাজ করছে। তারা যথাযথ আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে।’
