WBJEE Results 2023: জয়েন্টে প্রথম সাহিল আখতার, একেবারে টেনশন ফ্রি, চলে যাচ্ছেন আমেরিকা

সাহিল আখতার। কসবার বোসপুকুরের বাসিন্দা। রুবির দিল্লি পাবলিক স্কুলের ছাত্র। জয়েন্টের রেজাল্ট নিয়ে অনেকের যখন রাতের ঘুম চলে গিয়েছিল তখন সাহিল একেবারে টেনশন মুক্ত। এদিন যখন জয়েন্টের ফলাফল ঘোষণা হচ্ছিল তখনও ঘুমোচ্ছিলেন সাহিল। আসলে জয়েন্টে প্রথম নাকি দ্বিতীয় হবেন এসব নিয়ে বেশি ভাবেননি তিনি। পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে বাড়তি টেনশন নিতে চাননি সাহিল। কার্যত একেবারে টেনশন ফ্রি। বরাবরের মেধাবী ছাত্র সাহিল।

আগামী দিনে অ্য়াস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করতে চান তিনি। আমেরিকায় চলে যাবেন। সেখানেই চলবে গবেষণা। আসলে বাঁধাধরা পথে নয়, একটু অন্যভাবে এই পৃথিবীকে বিশেষ উপহার দিতে চান সাহিল। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ভর্তি হবেন তিনি। আমেরিকার সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই উচ্চশিক্ষার পাঠ নেবেন তিনি।

কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন? সাহিলের চটজলদি উত্তর, প্রতিদিন মোটামুটি ১২-১৪ ঘণ্টার প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে দিনরাত বই মুখে নিয়ে বসে রয়েছেন এমন নন তিনি। পড়ার ফাঁকে একটু গান, একটু কি বোর্ডে পছন্দে সুরটা তুলে নেওয়া। এভাবেই ধীরে ধীরে সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছেন ডিপিএসের এই মেধাবী ছাত্র।

দাদা দিল্লি আইআইটির ছাত্র। পড়াশোনার ক্ষেত্রে দাদাও সহায়তা করেছেন বরাবর। বাবা মা সবসময় পাশে থেকেছেন। এদিন সাহিল সাংবাদিকদের কাছে থেকে প্রথম হওয়ার খবর জেনে কিছুটা বিষ্ময় প্রকাশ করেন।

এবার দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার রেজাল্টটা ঠিক মনের মতো হয়নি। ইংরেজিতে নম্বর কিছুটা কমে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে পেয়েছিলেন ৯৬ শতাংশ। কিন্তু জয়েন্টের প্রস্তুতিতে এতটুকু ফাঁক ছিল না। একেবারে ঘড়ি ধরে অনুশীলন। কোচিং নেওয়া সবটা করেছেন নিয়ম করে। আর তার ফলও পেলেন হাতে নাতে।

 

Source link

Read also  Coromandel Express Accident: ‘মূল কারণ জানতে হবে’, করমণ্ডলের দুর্ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ রেলমন্ত্রীর