PM Modi In Australia We Will Not Accept Says On Strict Action Against Temple Vandalism
নয়া দিল্লি: অস্ট্রেলিয়া (Australia) সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানেসের সঙ্গে দুই দেশের কূটনৈতিক-অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও কথা হয়। এছাড়াও জ্বালানি, ব্যবসাবাণিজ্য এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা হয়। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় মন্দির ভাঙচুরের বিষয়টি নিয়েও কথা হয়েছে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানেস এবং আমি অস্ট্রেলিয়ায় মন্দির ভাঙচুরের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। কেন এমনটা হল এবং বিভাজনকারীদের নিয়ে কথা হয়েছে। আগেও কথা হয়েছিল। এবারও আলোচনায় এই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করা হয়েছে।’ মোদি এও জানান যে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী তাকে এই ধরনের ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
মোদির কথায়, আমরা এমন কিছু করব না যাতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং উষ্ণতা কমতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানেস আমাকে আজ বারংবার আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি এই ঘটনা যাতে না ঘটে তা দেখবেন এবং আগামী দিনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
প্রসঙ্গত, মার্চ মাসে ব্রিসবেনের একটি হিন্দু মন্দির, শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে খলিস্তানিপন্থী সমর্থকরা আক্রমণ করেছিল। অস্ট্রেলিয়ায় দুই মাসের মধ্যে সেটা ছিল চতুর্থ ঘটনা। যেখানে হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার একাধিক বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আলোচনা সারবেন। তারপরেই যোগ দেবেন প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বন্দোবস্ত করেছে অজি সরকার। ভারতীয় নাচ-গানে পারফর্ম করবেন সেদেশের প্রবাসী ভারতীয়রা। তারপরেই মোদির সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা।
সাম্প্রতিককালে ইউক্রেন ইস্যুতে ভারত অস্ট্রেলিয়ার থেকে ভিন্ন মেরুতে। তবে এই ভিন্নমত দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে চিড় ধরাবে না বলে মত মোদির। এই বিষয়ে মোদী বলেন, ‘ভালো বন্ধু হওয়ার এই এক লাভ। আমরা মুখোমুখি বসে আমাদের মনোভাব নিয়ে আলোচনা করতে পারি। অস্ট্রেলিয়া আমাদের অবস্থা বোঝে। এবং এর জেরে আমাদের দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে কোনও চিড় ধরবে না।’
আরও পড়ুন, শুধু জামাইয়ের মঙ্গল নয়, জামাইষষ্ঠী ব্রতপালনের পিছনে ছিল শাশুড়িদের আরও এক মনস্কামনা