Kohinoor To Be Displayed At An Exhibition On The Tower Of London
লন্ডন: ব্রিটিশ ঔপনেবেশিক ইতিহাসের অন্যতম দলিল কোহিনুর (Kohinoor) হিরে শোভা পাবে ‘টাওয়ার অফ লন্ডন’-র (Tower Of London) প্রদর্শনীতে (Exhibition)। আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার এই প্রদর্শনী হওয়ার কথা। স্বচ্ছতা ও ভারসাম্য যথাসম্ভব ধরে রেখে এই প্রদর্শনীতে ‘কোহিনুর’ -র ইতিহাস ব্যাখ্যা করা হবে, জানালেন আয়োজকরা।
ABP Ananda – Live TV
কী হতে চলেছে?
চ্যারিটি সংস্থা ‘হিস্টরিক রয়্যাল প্যালেসেস’-র মুখপাত্র বলেন, ‘এই প্রদর্শনীতে কোহিনুর-সহ একাধিক ঐতিহাসিক সামগ্রীর উৎস সন্ধান করা হয়েছে। কী ভাবে, বিভিন্ন সময়ে মুঘল সাম্রাজ্য, ইরানের শাহ, আফগানিস্তানের আমির এবং শিখ মহারাজাদের জয়-পরাজয়ের স্মারক হিসেবে এটির হাতবদল হয়েছে, সে কথাও ক্রমানুসারে বর্ণনা দেওয়া থাকছে এখানে।’ বিষয়টি নিয়ে নানা রকম সমীক্ষা করা হয়েছে বলেই দাবি মুখপাত্রের। কথা বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় গোষ্ঠী এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। তার পরই কোহিনুরের প্রদর্শনীতে ব্যাখ্যার ব্যবস্থা করা হয়। মুখপাত্রের কথায়, ‘আমাদের লক্ষ্য একটাই। লাগাতার গবেষণা থেকে উঠে আসা ফলাফলের ভিত্তিতে ইতিহাসকে স্বচ্ছতা ও ভারসাম্য বজায় রেখে পরিবেশন করা।’ কোহিনুরের ক্ষেত্রে যে লেবেল ব্যবহার করা হচ্ছে, তার নাম ‘সিম্বল অফ কনকোয়েস্ট’। ইতিহাসগত ভাবে এর মালিক যে বহুবার বদলেছে, তা তুলে ধরতেই এই লেবেল।
কী বলছে লেবেল?
১৮৪৯ সালে যে লাহৌর চুক্তি সই হয়েছিল, তাতে তদানীন্তন মহারাজা দিলীপ সিংহ, ইংল্যান্ডেশ্বরী রানি ভিক্টোরিয়ার হাতে কোহিনুর তুলে দিতে বাধ্য হয়। পঞ্জাব প্রদেশের নিয়ন্ত্রণও ছেড়ে দিতে হয়েছিল ১০ বছরের মহারাজাকে। স্পষ্ট লেখা লেবেলে। কোহিনুরের অর্থও ব্যাখ্যা করা থাকছে তাতে। ১৮৫০ সালে সেটি হাতে পেয়েছিলেন রানি ভিক্টোরিয়া। মিনের কাজ করা একটি আর্মলেটে বসানো ছিল সেটি। পরে অবশ্য সেটির ‘কাট’ বদলানো হয়। বার বার তার স্থানও বদলেছে। শেষমেশ অবশ্য মুকুটে শোভা পায় সেটি। প্রসঙ্গত, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথেরমৃত্যুতে কোহিনুরের মালিকানা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। রানির ছেলে চার্লস ব্রিটেনের নয়া রাজা ঘোষিত হন। কিন্তু মায়ের মুকুটে এ যাবৎ যে কোহিনুর শোভা পেত, তা ফেরানোর কোনও সদিচ্ছাই দেখাননি তিনি বা রাজ পরিবারের কেউ। ব্রিটেনের সরকারও এ ব্যাপারে নীরব। বরং চার্লসের স্ত্রী, ক্যুইন কনসর্ট ক্যামিলার হাতেই আপাতত উঠতে চলেছে কোহিনুর। তবে শুধু কোহিনুর নয়, বিভিন্ন উপনিবেশ থেকে আহরিত ব্রিটেনের বহুমূল্য সংগ্রহে রয়েছে আরও চোখ ধাঁধানো রত্নসমূহ, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গ্রেট স্টার অফ আফ্রিকা ডায়মন্ড, টিপু সুলতানের আংটি, রোসেটা স্টোন এবং এলগিন মার্বেল।
আরও পড়ুন:কাজের জায়গায় সুখবর পেতে পারেন কারা ? কেমন যাবে আজকের দিন ?