ED on Chinese Loan App Case: চিনা লোন অ্যাপ কাণ্ডে রেজরপে, তিন NBFC-সহ সাত সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ED-র
চিনা ঋণ প্রদানকারী অ্যাপের মামলায় বড় পদক্ষেপ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। শুক্রবার ইডির তরফে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে যে বেঙ্গালুরুতে বিশেষ পিএমএলএ আদালতে পেমেন্ট গেটওয়ে সংস্থা রেজারপে সহ সাতটি সংস্থা এবং পাঁচজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চার্জশিট গঠনের প্রেক্ষিতে আদালত ইডির অভিযোগ আমলে নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটির তরফে। এই গোটা চক্রের নেপথ্যে চিনা নাগরিকরা রয়েছেন বলে অভিযোগ ইডির। আরবিআই-এর নিয়ম ভঙ্গ করে এই গোটা চক্র ঋণ প্রদান করত এবং পরে তা আদায় করতে আম জনতাকে হেনস্থা করত বলে অভিযোগ। (আরও পড়ুন: সরকারের কপালে ‘শনির দশা’, ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মীদের প্রতিবাদে থমকে যাবে কাজ)
জানা গিয়েছে চার্জশিটে নাম রয়েছে – ম্যাড এলিফ্যান্ট নেটওয়ার্ক টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেড, ব্যারিওনিক্স টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেড এবং ক্লাউড অ্যাটলাস ফিউচার টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেড নামক তিনটি ‘ফিনটেক’ সংস্থার নাম। এই তিন ফিনটেক সংস্থাই চিনা নাগরিকের দ্বারা পরিচালিত বলে জানা গিয়েছে। তাছাড়াও চার্জশিটে তিনটি নন-ব্যাঙ্কিং ফিন্যানশিয়াল কর্পোরেশনেরও নাম রয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্ত তিনটি এনবিএফসি হল – X10 ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড, ট্র্যাক ফিন-এড প্রাইভেট লিমিটেড এবং জামনাদাস মোরারজি ফাইন্যান্স প্রাইভেট লিমিটেড। এই তিনটি এনবিএফসি-কেই ছাড়পত্র দিয়েছিল আরবিআই। এছাড়া অভিযুক্ত সংস্থার তালিকায় নাম রয়েছে পেমেন্ট গেটওয়ে সংস্থা ‘রেজরপে’।
এর আগে, ইডি দুটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি করে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং পেমেন্ট গেটওয়েতে থাকা ৭৭.২৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল এই মামলায়। কর্ণাটকের সিআইডির দায়ের করা বিভিন্ন এফআইআর-এর উপর ভিত্তি করে একটি তদন্তও শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। বিভিন্ন গ্রাহকদের থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এই সব এফআইআর করেছিল সিআইডি। বিভিন্ন গ্রাহক, যাঁরা এই সব সংস্থার থেকে ঋণ নিয়েছিলেন এবং হয়রানির সম্মুখীন হয়েছিলেন, তাঁরা এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন পুলিশকে। তার ভিত্তিতেই ধাপে ধাপে তদন্ত এগোতে থাকে।
ইডির তদন্তে জানা যায় যে ডিজিটাল লেনদেন অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ বিতরণের জন্য ফিনটেক কোম্পানিগুলির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনবিএফসিগুলির চুক্তি ছিল। কমিশনের জন্য নিজেদের নাম ভাড়া দিয়ে এই কাজগুলি করছিল এই তিন এনবিএফসি। তবে পেছন থেকে বেআইনি ভাবে সব কলকাঠি নাড়ছিল চিনা নাগরিক দ্বারা পরিচালিত তিনটি ফিনটেক সংস্থা। এই গোটা বেআইনি চক্রকে ফাঁস করে ইডির দাবি, আরবিআই-এর নিয়ম ভঙ্গ হয়েছে এতে। এই কেলেঙ্কারির আরও গভীরে যেতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এরই মাঝে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করল ইডি।