Accident: লাইন পেরোতে গিয়ে রাজধানী এক্সপ্রেসের ধাক্কা,উড়ে গেলেন তিন যাত্রী

হাওড়া-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস। ধানবাদে সেই ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল তিনজনের। শুক্রবার সন্ধ্যায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস গোমো রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা। আরপিএফ ইনস্পেক্টর বিজয় শঙ্কর এমনটাই জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে। 

রেল সূত্রে খবর, গোমো স্টেশনে ওই রাজধানীর স্টপেজ ছিল না। ট্রেনটি স্বাভাবিকভাবেই দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। সম্ভবত ওই তিনজন লাইন টপকে তিন নম্বর প্লাটফর্মের দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দেহের টুকরো প্রায় ৫০০ মিটার দূরে গিয়ে ছিটকে পড়ে। ধাক্কার তীব্রতা এতটাই ছিল। 

সূত্রের খবর, ওই যাত্রীরা আসানসোল গোমো প্য়াসেঞ্জার ট্রেন থেকে নেমেছিলেন। এরপর তারা রেললাইন টপকে তিন নম্বর প্লাটফর্মের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা রাজধানী এক্সপ্রেস চলে আসে। একেবারে দলা পাকিয়ে যায় দেহগুলি। প্রচণ্ড জোরে আসছিল ট্রেনটি। ব্রেক কষার মতো পরিস্থিতি ছিল না। তাদের দেহগুলিকে প্রথম চিনতে পারা যায়নি। পরে তাদের পোশাক দেখে পরিবারের লোকজন তাদের চিহ্নিত করে। তাদের দেহের টুকরোগুলিকে আপাতত সংগ্রহ করা হয়েছে। 

এদিকে দেহের টুকরোগুলিকে সংগ্রহ করার জন্য় আপ লাইনে ট্রেন চলাচল কিছুক্ষণের জন্য় বন্ধ রাখা হয়েছিল। শিয়ালদহ-নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসকে ডাউন লাইন দিয়ে পাশ করানো হয়। 

পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম মনোজ সাব( ১৯), শিব চরণ সাব( ২০) ও বাবলু কুমার (২০)। তাদের দেহ একেবারে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল। সূত্রের খবর, শিবচরণ ও বাবলু কুমার ধানবাদে কাজ করতেন। তারা গোমোতে সদানন্দ মেলা দেখার জন্য এসেছিলেন। সবে ট্রেন থেকে নেমে তারা লাইন টপকে অন্য় প্লাটফর্মে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সেই লাইনে রাজধানী এক্সপ্রেস আসার সিগন্যাল হয়ে গিয়েছিল। সেটা তারা বুঝতে পারেননি। এদিকে অত্য়ন্ত দ্রুতগতিতে আসে রাজধানী এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের ধাক্কায় একেবারে ছিটকে পড়েন তিনজন। সারা শরীর টুকরো টুকরো হয়ে ছিটকে পড়ে। এদিকে ওভারব্রিজ দিয়েই এক প্লাটফর্ম থেকে অপর প্লাটফর্মে যাওয়ার জন্য রেলের তরফে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তা না মানার জেরেই মর্মান্তিক পরিণতি। 

Read also  Bangladesh: বাংলাদেশে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, পদ্মাসেতুর কাছেই সব শেষ! শুধুই মৃতদেহের মিছিল

Source link