শিশুদের ধর্ষণ, ছবি তুলে ছড়িয়ে দিত উচ্চশিক্ষিত যুবক,গ্রেফতার সেই PhD স্কলার

তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুরের এক পিএইচডি স্কলারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তার বয়স ৩৫ বছর। বাচ্চাদের ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শিশুদের যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত বিষয়গুলি বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইন্টারপোল ডেটাবেস থেকে শিশুদের যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত একাধিক বিষয়গুলি পেয়েছে সিবিআই। এরপর ডিজিটাল ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় এজেন্সি জানতে পারে তাঞ্জাভুর জেলাতে এই ঘটনা হয়েছে। 

এরপর এজেন্সির তরফে অভিযুক্তের বাড়ির চত্বরে তল্লাশি চালানো হয়। এরপরই একাধিক ইলেকট্রনিক গেজেট থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি নানা ধরনের আপত্তিকর উপাদানের সন্ধান পায়। 

অভিযোগ উঠেছে ওই যুবক গত চার বছর ধরে একটি শিশুকে যৌন হেনস্থা করত। এরপর গুগল অ্য়াকাউন্টে তার নগ্ন ছবি ও ভিডিয়ো আপলোড করা হত। এদিকে আধিকারিকদের দাবি, অভিযুক্ত যুবক দুই নাবালক, নাবালিকাকে যৌন কাজ করতে বাধ্য করেছিল। এরপর সেই ঘটনার ভিডিয়ো  ও ছবি তুলে রেখেছিল ওই যুবক। এরপর আরও মেয়েকে আনার জন্য় সে চাপ দিত। না হলে ইন্টারনেটে সেই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিত সে। 

ইন্টারপোল ডেটাবেস থেকে সিবিআই প্রথমে এই তথ্যগুলির সন্ধান পায়। তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে ওই যুবক পিএইচডি স্কলার। উচ্চশিক্ষিত। কিন্তু তারপরেও সে কেন এই ঘটনা ঘটাত তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। সূত্রের খবর, মূলত সে শিশুদের টার্গেট করত। এরপর তাদের যৌন হেনস্থা করত। আর বাইরে বলে দিলেই ফল ভালো হবে না বলে শাসাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হল সে। 

এদিকে শিশুদের যৌন হেনস্থা করা হয়েছে তা জানতে পারার পরেও অনেক সময় অভিভাবকরা তা চেপে যান। এনিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছিলেন বিচারপতি। শিশুদের যৌন নির্যাতন নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি জানিয়েছিলেন, শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন একটি লুকিয়ে রাখা সমস্যা। কারণ এখানে এসব নিয়ে চুপচাপ থাকার একটি সংস্কৃতি রয়েছে। কিন্তু রাজ্যের উচিত পরিবারগুলিকে বোঝানো যাতে তারা এই ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পরিবারের সদস্য় হলেও।

Read also  RTI: মোদীর ডিগ্রি সার্টিফিকেট নিয়ে কেজরিওয়ালের আরটিআই, গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় তুলল 'গোপনীয়তা' প্রসঙ্গ

POCSO Act নিয়ে দুদিনের জাতীয় কর্মসূচি হয়েছিল। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন,ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেম মাঝেমধ্যে এমন একটা জায়গায় চলে যাচ্ছে যে  তা মাঝেমধ্যে নির্যাতিতার কাছে যন্ত্রণাদায়ক হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে বিচারব্যবস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এক্সিকিউটিভদেরও এগিয়ে আসতে হবে যাতে এই ধরনের প্রবনতা রোখা সম্ভব হয়।

শিশুদেরও সেফ টাচ আর আনসেফ টাচ সম্পর্কে চেনান। আগে এটিকে গুড টাচ, ব্যাট টাচ বলা হত। কিন্তু এর সঙ্গে একটা নৈতিকতা জড়িয়ে থাকত। যার জেরে তারা অনেক সময় নির্যাতন নিয়ে অভিযোগ জানাতেন না। এমনটাও জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। 

 

Source link