দুর্ঘটনার পর শূন্য থেকে শুরু, মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের পর হিমালয়ের কোলেই চিরতরে ঘুমিয়ে পড়লেন পর্বতারোহীaustralian climber lost his life on mount everest while returning from summit – News18 Bangla

অস্ট্রেলিয়ান পর্বতারোহী জ্যাসন বার্নার্ড কেনিসন নতুন জীবন পেয়েছিলেন দুর্ঘটনা থেকে ফিরে এসে৷ এতটাই আহত হয়েছিলেন, নতুন করে হাঁটা শিখতে হয়েছিল৷ দুর্ঘটনার ১৭ বছর পর গিয়েছিলেন বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ স্পর্শ করতে৷ সেটা করলেনও৷ কিন্তু আর ফিরে এলেন না৷ মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করে ফিরে আসার পথে হিমালয়ের কোলেই চিরতরে ঘুমিয়ে পড়লেন এই অভিযাত্রী৷ তাঁকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত ১০ জন প্রাণ হারালেন মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের এই মরশুমে৷ ‘এশিয়ান ট্রেকিং’ সংস্থার পরিচালিত অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পার্থ-এর এই বাসিন্দা৷ ওই সংস্থাই তাঁর প্রয়াণ সংবাদ জানায় সংবাদমাধ্যমকে৷ নেপালের পর্যটন দফতরের সূত্র অনুযায়ী, চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত ৪৫০ পর্বতারোহী জয় করেছেন মাউন্ট এভারেস্ট

সাউথ সামিটে কেনিসনের আচরণে অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে৷ এর পর দুজন শেরপার সাহায্যে তিনি ব্যালকনি এরিয়া পর্যন্ত অবতরণ করেন৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৪০০ মিটার উপরে ওই পার্বত্য অঞ্চলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ সেখান থেকে আর নড়তে চাননি তিনি৷ তাঁকে রেখেই বাধ্য হয়ে নেমে আসেন সাহায্যকারীরা৷ ‘এশিয়ান ট্রেকিং’ সংস্থার প্রধান দাওয়া স্টিভেন শেরপা জানিয়েছেন মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গেই ধীরে ধীরে নিশ্চল হয়ে পড়ছিলেন কেনিসন৷ তার পর কোনওমতে তাঁকে নামিয়ে আনা হয় শৃঙ্গের নীচে ব্যালকনি এরিয়াতে৷ এদিকে তাঁদের সঙ্গে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডার ক্রমেই ফাঁকা হয়ে আসছিল৷ তাই কেনিসনকে সেখানে রেখেই ক্যাম্প ফোরে নেমে আসেন কেনিসনের সঙ্গীরা৷ তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল, ক্যাম্প ফোর থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ফের কেনিসনের কাছে কাছে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে নামিয়ে আনা৷ কিন্তু ঝোড়ো বাতাস এবং প্রতিকূল আবহাওয়ায় তাঁদের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি৷

 

কেনিসনের পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘মাউন্ট এভারেস্টের শীর্ষে পৌঁছে তিনি নিজের স্বপ্ন পূর্ণ করেছেন৷ বিশ্বের শীর্ষ বিন্দু স্পর্শ করতে পেরেছেন৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি আর ফিরে আসতে পারেননি৷ তাঁর মতো সাহসী অভিযাত্রিককে সকলে মনে রাখবেন৷ সকলে তাঁর অভাব বোধ করবেন৷’’ ২০০৬ সালে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডে আঘাত পান তিনি৷ চলার শক্তি হারিয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন দীর্ঘ দিন৷ ক্রমশ ডুবে গিয়েছিলেন হতাশা ও নৈরাশ্যে৷

Read also  Madhyamik 2023: ১৯ মে মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ

আরও পড়ুন : শুষ্ক আটাকামা মরুভূমিতে ৫০০০-এর বেশি বছর ধরে অপেক্ষায় এই নিথর দেহ

আবার শূন্য থেকে শুরু করেন কেনিসন৷ নতুন করে হাঁটতে শেখেন৷ মাউন্ট এভারেস্টের আকর্ষণেই উঠে দাঁড়ান মনোবল ও সাহসকে অবলম্বন করে৷ সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি লেখেন ‘‘প্রতিকূলতা পেরিয়ে যেতে আমি ক্রমাগতই নিজে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করেছি৷ মাউন্ট এভারেস্ট আমার কাছে প্রতিকূলতা পেরিয়ে তৃপ্তিসাধনের উপলক্ষ৷’’ তাঁর পরিবারের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নেপাল সরকার৷

Published by:Arpita Roy Chowdhury

First published:

Tags: Himalaya, Mount Everest

Source link