চিন্তা বাড়াচ্ছে কোভিডের আরও শক্তিশালী নতুন স্ট্রেন, ভারতের উদাহরণ সামনে আনছেন বিশেষজ্ঞরা
#উহান: আবার ফিরছে ঠিক একই স্মৃতি৷ ২০১৯-এর ডিসেম্বেরেই প্রথম করোনার কথা শোনা গিয়েছিল চীনে৷ সেই অসুখ ক্রমে ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে৷ ধীরে ধীরে গ্রাস করেছিল অতিমারি, স্তব্ধ হয়েছিল সমগ্র পৃথিবী৷ কোভিডের তিনটি ঢেউ, একের পর ভ্যারিয়েন্ট দেখেছে বিশ্ব৷ কিন্তু ঠিক সামলানোর মুহূর্তেই ফের বিপদ৷ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, আরও একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট ভয় বাড়াচ্ছে চীনে৷ এই শীতে কোভিডের তিনটি ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে সেই দেশে। নতুন করোনা স্ট্রেনের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে চীন। কিছু সময়ের মধ্যেই করোনার আরও একটি বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্ট গোটা দেশকে গ্রাস করতে পারে৷ তবে বিশেষজ্ঞদের চিন্তা আরও বাড়ছে কারণ দেশ সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করছে না৷
আমেরিকান বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল লুসি জানিয়েছেন আগামী দিনগুলিতে অবশ্যই চীনে ওমিক্রনের সাবভেরিয়েন্টগুলি আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ ফলে চীনকে নতুন করে সতর্কতা বাড়াতে হবে৷ এটি আরও সংক্রামক, আরও মারাত্মক হতে পারে । ২০২০ সালের শেষের দিকে ভারতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অভিজ্ঞতা মনে পড়ছে আবারও। ভ্যাকসিন, চিকিৎসা এবং অন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুত হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তাও যথেষ্ট কিনা জানা নেই৷ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, চীনে এখনও পুরোপুরি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়নি। সবার উপযুক্ত টিকাকরণও হয়নি। অ্যান্টিবডি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এর সংক্রমণ ক্ষমতা আরও বাড়তে পারে৷ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রীতিমতো হাসফাঁস দশা চিন প্রশাসনের। খোলসা করা হচ্ছে না মৃতের সংখ্যাও।
আরও পড়ুন: ছাদে ৫ ফুট লম্বা মাল বোঝাই করে ছুটছে দূরপাল্লার বাস, কলকাতার স্ট্যান্ডগুলিতে মারাত্মক দৃশ্য!
কোভিড বিধি শিথিল করার পরেই ফের করোনা ঢুকে পড়ল চিনের সাধারণ মানুষের ঘরের অন্দরে। বর্তমানে সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওমিক্রনের B4.7 ভ্যারিয়্যান্ট। এই ভ্যারিয়ান্টের খোঁজ মিলেছে ভারতেও। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা হুহু করে বাড়ার পরে ভারতে এই স্ট্রেনে আক্রান্ত ৪ জনের খোঁজ মিলেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা এও জানাচ্ছেন চীনের জন্য এই মুহূর্তে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus