MI vs LSG: কাজেও সতেজ নবীন! এক ওভারে সূর্য, গ্রিনকে ফেরালেন, মোট নিলেন চার উইকেট
চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে প্রথম ধাক্কাটা দেন নবীন-উল-হক। সাজঘরে ফেরান মুম্বইয়ের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। শুরুতেই রোহিতের উইকেট পড়তে মুম্বইয়ের উপর বড় চাপ চলে আসে। এর পর সূর্যকুমার যাদব এবং ক্যামেরন গ্রিন যখন দ্রুত গতিতে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করছেন, সেই সময়ে ফের নবীনের আবির্ভাব। এবং ১১তম ওভারে সূর্য এবং গ্রিনকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে মুম্বইয়ের কোমরই কার্যত ভেঙে দেন আফগান তারকা। এতে মুম্বই কিন্তু প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে যায়। পরে তিনি তিলক বর্মাকেও আউট করেন।
আরও পড়ুন: T20 ক্রিকেটে অ্যাঙ্করের কোনও ভূমিকাই নেই- কোহলির একেবারে উল্টো দাবি রোহিতের
১১তম ওভারের চতুর্থ বলে সাজঘরে ফেরেন সূর্য। ২০ বলে ৩৩ করে কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন স্কাই। মারেন ২টি চার ও ২টি ছক্কা। এর ঠিক এক বল বাদেই ক্যামেরন গ্রিনও নবীনের শিকার হন। ২৩ বলে ৪১ করে তিনি বোল্ড হন। মারেন ৬টি চার ও ১টি ছক্কা। তৃতীয় উইকেটে সূর্য-গ্রিন জুটি ৩৬ বলে ৬৬ রানের পার্টনারশিপ করেন। এই জুটি যখন খেলছিল, তখন মনে হয়েছিল বড় রানের লক্ষ্যে পৌঁছবে মুম্বই। হয়তো দু’শোও করে দিতে পারে। কিন্তু সঠিক সময়ে মুম্বইয়ের দুই সেট হয়ে যাওয়া তারকাকে প্যাভিলিয়নে পাঠান নবীন। গ্রিন আউট হওয়ার পরে মুম্বই আর ৭৭ রান যোগ করতে পারে। তার আগে রোহিত শর্মা ১০ বলে ১১ করে নবীনের ওভারেই আয়ুশ বাদোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন। এ দিন মুম্বইয়ের ব্যাটিং অর্ডারকে বিপাকে ফেলেন মূলত নবীনই।
আরও পড়ুন: ভারতীয়দের মধ্যে IPL-এর ৫০ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান, সচিনের রেকর্ড গুঁড়িয়ে দিলেন রুতুরাজ
সূর্য-গ্রিন আউট হতে ক্রিজে আসেন তিলক বর্মা এবং টিম ডেভিড। কিন্তু তাঁরা পঞ্চম উইকেটে সূর্যদের মতো বিধ্বংসীও হয়ে উঠতে পারেননি। খুব বেশি রানও যোগ করতে পারেননি। এই জুটি ৩৩ বলে ৪৩ রান যোগ করে। বেশ মন্থরই রান ওঠে। টিম ডেভিড ১৩ বলে ১৩ করে আউট হওয়ার পরে, ২২ বলে ২৬ করে আউট হয়ে যান তিলক বর্মাও। তিলকও সেই নবীনেরই শিকার হন। নবীনের বলে দীপক হুডা ক্যাচ ধরেন তিলকের। এ দিন নবীন ৪ ওভার বল করে ৩৮ রান দিয়ে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। তবে শেষে নেহাল ওয়াধেরার ২২ বলে ২৩ রানের সুবাদে ১৮২ রানে পৌঁছয় মুম্বই। শেষ বলে নেহাল আউট না হলে আর কয়েকটা রান বেশি হত মুম্বইয়ের। ২০ ওভারে ১৮২ রান তুলতে মুম্বই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে।
লখনউয়ের হয়ে নবীনের ৪ উইকেট ছাড়াও ৩ উইকেট নিয়েছেন যশ ঠাকুর। একটি উইকেট নিয়েছেন মহসিন খান।