LSG vs MI: আরও কোহলি-কোহলি চিৎকার হোক! সাফ কথা নবীনের, বললেন, ‘গম্ভীর ক্রিকেটের লেজেন্ড’

পরপর দু’বার প্লে-অফে। দু’বারই ফাইনালে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ তারা। তবে গতকাল মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে এলিমিনেটর ম্যাচে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভুলে যেতে চাই লখনউ সুপার জায়ান্টস। ক্রুণাল পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন দল ৮১ রানের বড় ব্যবধানে হারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে। সেই সঙ্গে লখনউয়ের মরশুম এখানে শেষ হয়ে গেল।

তবে গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে তারা। সেই সঙ্গে বেশ কিছু বিতর্কও দেখা যায়। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বিরাট কোহলির সঙ্গে লখনউ সুপার জায়ান্টস মেন্টর গৌতম গম্ভীর ও ক্রিকেটার নবীন-উল-হকের ঝামেলা শোরগোল পড়ে যায় ভারতীয় ক্রিকেটে। যা হয়ত এখনও শেষ হয়েও হয়নি। কারণ সেই ঘটনার পর নাম না করে বিরাটকে তোপ, তারপর মেন্টর গম্ভীরকে প্রশংসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবর হন নবীন। এবার ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে গম্ভীরের প্রশংসা করলেন নবীন-উল-হক। তাঁর এই প্রশংসার পিছনে গন্ধ পেতে শুরু করে দিয়েছে ক্রিকেট মহল।

বুধবার এলিমিনেটর ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টসে জিতে লখনউকে প্রথমে বল করতে পাঠায়। চেন্নাইয়ের মন্থর পিচে ১৮২ রান তুলে ম্যাচে অনেকটা এগিয়ে যায় তারা। কিন্তু এই পিচে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা যে কষ্টকর তা তখনই বোঝা গিয়েছিল চেন্নাই ম্যাচে। এই ম্যাচেও তা ধরা পড়ল। বড় টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে লখনউ সুপার জায়ান্টস ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। ম্যাচের শেষের দিকে পরপর উইকেট পতন বুঝিয়ে দিচ্ছিল চাপের কাছে নত শিকার করেছে সুপার জায়ান্টসরা।

চলতি মরশুমের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী দল কোনওমতে ১০০ রানের গন্ডি পার করতে পারে। ১০১ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। ম্যাচ শেষের পর লখনউ সুপার জায়ান্টসের বোলার নবীন-উল-হক গৌতম গম্ভীর প্রসঙ্গে বলেন, ‘গৌতম গম্ভীর একজন কিংবদন্তি। আমরা সবাই জানি ও ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য কী করেছে। আমি ওকে একজন মেন্টর এবং ক্রিকেটের কিংবদন্তি হিসাবে অনেক সম্মান করি। আমি এই মরশুমে গম্ভীরের থেকে অনেক কিছু শিখেছি।’

Read also  এশিয়া কাপে না খেলার কারণ জিজ্ঞাসা করলেই জয় শাহ শুধু হাসেন- PCB প্রধান নাজাম শেঠি - BCCI Secretary Jay Shah just laughs when asked why he didn't play in the Asia Cup

শুধু তাই নয়, অনেক ম্যাচেই নবীন বা গৌতম গম্ভীরকে দেখলেই সমর্থকরা চিৎকার করতে থাকেন, কোহলি, কোহলি। সেই বিষয়ে আফগান পেসার বলেন, ‘মাঠে এটা আরও হোক। আমার ভালো লাগে কোহলি বা কোনও ক্রিকেটারের নামে এই ভাবে চিৎকার করতে দেখে। আমার ভালো লাগে। যা আমাকে আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে সাহায্য় করে।’

এই ম্যাচ লখনউ হারলেও পেসার নবীন অসাধারণ পারফরম্যান্স করেন। ৩৮ রান দিয়ে চারটি উইকেট তুলে নেন তিনি। এই চারটি উইকেট মূল্যবান ছিল লখনউয়ের কাছে। রোহিত শর্মা, ক্যামেরন গ্রিন, সূর্যকুমার যাদব এবং তিলক বর্মা এই চার শক্তিধর ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়ে দেন আফগানিস্তানের বোলার। উইকেট নিয়ে চোখ বন্ধ করে কানে আঙ্গুল দিয়ে সেলিব্রেশনও করেন তিনি। ডাগআউটে বসে থাকা মেন্টর গৌতম গম্ভীরও উত্তেজনায় চিৎকার করে ওঠেন।

তবে শেষ পর্যন্ত নবীনের লড়াই বাঁচাতে পারেনি দলকে। ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ট্রোলও হতে হয়েছে তাঁকে। বিরাট কোহলির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ায় মাশুল গুনতে হচ্ছে তাঁকে। এমনটাই মনে করছেন সকলে। আপাতত আফগানিস্তান উড়ে যাওয়ার বিমান ধরবেন তিনি। তবে তাঁর আইপিএল শেষ হলেও এই ঝামেলা শেষ বলে মনে হয় না।

(আইপিএলের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- https://bangla.hindustantimes.com/sports/ipl)

Source link