Learning level in West Bengal: কোভিডের পর রাজ্যে সাক্ষরতার হাল কিছুটা ইতিবাচক, সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এল তথ্য
কোভিড মহামারির দীর্ঘ সময় পেরিয়ে রাজ্যে আবার শুরু হয়েছে স্কুলগুলির পঠনপাঠন। সশরীরে ক্লাসে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের উপস্থিতির ফলে ধীরে ধীরে ফিরে আসছে পুরোনো চেহারা। আর এতেই ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে সাক্ষরতার হারে। সম্প্রতি এডুকেশন রিপোর্টের বার্ষিক মূল্যায়নের তরফে এমনটাই জানানো হল।
তবে বিশেষজ্ঞরা এখনও পঠনপাঠনের হার নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। তাঁদের কথায়, বেশ কিছু ক্ষেত্রে মুখোমুখি পঠনপাঠনের হার প্রাক-কোভিড স্তরের তুলনায় বেশ কম। তাছাড়া জাতীয় গড়ের তুলনায় স্কুলে পড়ুয়াদের কম উপস্থিতি নিয়েও বেশ চিন্তিত তাঁরা। এর মধ্যেই একটি আশার খবর হল বাংলার সরকারি স্কুলে ভর্তির হার কিছুটা বেড়েছে।
রাজ্যের প্রথম এডুকেশন ফাউন্ডেশন এবং লিভার ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৯২ শতাংশ শিশু সরকারি স্কুলে নথিভুক্ত থাকলেও ২০২২ সালে মোট উপস্থিতির হার ছিল৬৮.২ শতাংশ। প্রথম এডুকেশন ফাউন্ডেশনের সিইও রুক্মিণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ২০১৮ থেকে উপস্থিতির হার বেড়েছে, যা একটি ইতিবাচক লক্ষণ। তবে এই হারকে আরও উন্নত করতে হবে।
রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, মহামারী চলাকালীনও সেভাবে মেয়েরা স্কুলছুট হয়নি। এর জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পগুলি দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিশেষ সমীক্ষাটি পশ্চিমবঙ্গের মোট ১৮ টি জেলার পরিবারের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। রুক্মিণী জানান, প্রাথমিক পঠনপাঠন এবং গাণিতিক দক্ষতার স্তরগুলি ২০১৪ থেকে ২০১৮ এর মধ্যে স্থিতিশীল ছিল। তবে মহামারী চলাকালীন শিক্ষার্থীদের পঠনপাঠন যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০২২ সালে তৃতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিশুদের মাত্র এক-তৃতীয়াংশের গ্রেডস্তরের পঠন এবং গাণিতিক দক্ষতা ছিল। অর্থাৎ সাক্ষরতা এবং সংখ্যায় মৌলিক দক্ষতা অর্জনের জন্য বেশিরভাগ শিশুরই সাহায্যের প্রয়োজন। আগামী কয়েক বছরে ‘নিপুন ভারত’-এর লক্ষ্য পূরণে এটি বিশেষভাবে জরুরি। রুক্মিণীর কথায়, তালিকাভুক্তি বেশি হলেও শেখার পরিমাণ কম ছিল।
এক সর্ব ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন ভারতের ঔপনিবেশিক ইতিহাস এখনও মানুষের চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলছে। তাঁর কথায়, সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য স্কুলকে একটি মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করার প্রবণতা দেখা যায় অভিভাবকদের মধ্যে। যখন তারা বুঝতে পারেন, সন্তানের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, তখন তাকে আর পড়াতে চান না। এই মানসিকতায় বদল আনা উচিত। বরং মনে রাখতে হবে প্রতিটি ক্লাসের শিক্ষাই গুরুত্বপূর্ণ। এমনকী ভবিষ্যতে অর্থ উপার্জনে সাহায্য করে। একজন ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ার তুলনায় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা জানা পড়ুয়ার বেশি উপার্জন করতে পারবে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup