German device can ‘smell’ wildfire: আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই জানান দেবে যন্ত্র! ভবিষ্যৎকে নিরাপদ করতে বড় আবিষ্কার

আগুন লাগার আগেই যদি টের পাওয়া সম্ভব হয়, তবে অনেক দুর্ঘটনাই এড়ানো যেতে পারে। বড়সড় আগুন লাগার ঘটনাও আগে থেকে টের পাওয়া যায় না। যতক্ষণে দমকল সেখানে পৌঁছায়, ততক্ষণে অনেকটাই ক্ষতি হয়ে যায়। আগুন লেগেছে কিনা জানান দিতে বেশকিছু যন্ত্রও সারা বিশ্বে রয়েছে। তবে সে তথ্য জানান দিতে যথেষ্ট সময় নেয় এরা।

এমন পরিস্থিতিতে এক জার্মান সংস্থা জানিয়েছে তাদের সাম্প্রতিক আবিষ্কারের কথা। অন্য যন্ত্রের তুলনায় তাদের আবিষ্কৃত ‘দিরাদ’ যন্ত্রটি আগুন লাগার খবর যথেষ্ট তাড়াতাড়ি দেয়। আগুন লাগতে পারে এমন খবর দিরাদ অন্য যন্ত্রের তুলনায় আগেই টের পেয়ে যায়। ফলে অনেক আগেই খবর পৌঁছে যায় দমকলের কাছে।

দিরাদ যন্ত্রটি মূলত দাবানলের ঘটনা এড়াতেই তৈরি করা। দাবানল এড়াতে জার্মানিতে এমন বেশকিছু যন্ত্র ব্যবহার হয়। তবে কোনওটিই দিরাদের মতো দ্রূত নয়, জানাচ্ছে প্রস্তুতকারী সংস্থাটি।

দিরাদ আসলে কী?

দ্রুত আগুন লাগার খবর টের পায় এই যন্ত্র। বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে এটি ধোঁয়া ও কিছু গ্যাসের উপস্থিতি আগে থেকেই বুঝে ফেলে। পাশাপাশি এর বিশেষ প্রযুক্তি অন্যান্য যন্ত্রের তুলনায় অনেক কম সময়েই খবর পোঁছে দেয় বনাঞ্চলের আধিকারিকদের। এতে তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নিতেও সুবিধা হয়। এর ফলে আগুন নেভাতে অনেকটা সময় পাওয়া যায়।

কীভাবে কাজ করে এই যন্ত্র?

দিরাদের বিশেষ প্রযুক্তি আগুনের ধোঁয়ার পাশাপাশি হাইড্রোজেন, কার্বন মনোক্সাইড ও কার্বন ডাইঅক্সাইড ইত্যাদি গ্যাসের উপস্থিতি আগে থেকেই টের পেয়ে যায়। যন্ত্রটির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পিপিএম পর্যায়ে এই গ্যাসগুলির অস্তিত্ব টের পায়। ফলে আগুন লাগা নিয়ে ভুল খবরও বনদফতরের কাছে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। এই যন্ত্রে থাকা লোরাওয়ান সেন্সরটি মেশ গেটওয়ের মাধ্যমে আগুন লাগার তথ্য পাঠাতে পারে। ফলে কোনওরকম তারের সংযোগ ছাড়াই তথ্য পৌঁছে যায় যথাস্থানে। ফোরজি বা ইথারনেটের সংযোগ ছাড়াই এটি কাজ করতে পারে। দিরাদের পাঠানো তথ্যটি প্রথমে বনদফতরের নির্ধারিত কম্পিউটারে গিয়ে পৌঁছায়। এরপর কম্পিউটারের ব্লিশেষণকারী ক্ষমতা মুহুর্তের মধ্যে তথ্যটি ব্লিশেষণ করে সত্যিই আগুন লেগেছে কিনা বুঝে নেয়।

Read also  Covid death in China: করোনায় মৃত্যু বাড়ছে লাফিয়ে, তথ্য কি গোপন করছে চিন? কী বলছে নয়া রিপোর্ট

বিশেষজ্ঞদের মতে, দিরাদের এই বিশেষ প্রযুক্তিই আগুন নেভানোর কাজে আগের তুলনায় বেশি সাহায্য করবে।

 

 

Source link