Doomsday clock: এই ঘড়ির মতে পৃথিবীর বিপর্যয় হতে মাত্র ৯০ সেকেন্ড দেরি! কেন এমন আশঙ্কা? জানেন কি?
বিশ্বব্যাপী বিপর্যয় নেমে আসতে আর মাত্র ৯০ সেকেন্ড! ২০২৩ সালে ‘ডুমসডে’ ক্লকের কাঁটা এমনটাই জানাচ্ছে। সম্প্রতি বুলেটিন সায়েন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি বোর্ডের তরফে এই ঘোষণা করা হয়। জানানো হয়, বিপর্যয়ের সেই মধ্যরাত হতে আর মাত্র ৯০ সেকেন্ড বাকি। অর্থাৎ আর বেশি দেরি নেই। প্রসঙ্গত এই প্রথম ডুমসডে ক্লক অনুযায়ী বিপর্যয়ের এতটা ঘনিয়ে এসেছে। গত বছর ১০০ সেকেন্ড থেকে এই বছর তা কমে হল ৯০ সেকেন্ড।
ডুমসডে ক্লক কী?
১৯৪৫ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন ও শিকাগোর অন্যান্য বিজ্ঞানীরা মিলে তৈরি করেন বুলেটিন অফ অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস। হিরোসিমা ও নাগাসাকিতে নিউক্লিয়ার পারমাণবিক বোমা বিষ্ফোরণের পর এই সংস্থা তৈরি হয়। তাদেরই প্রচেষ্টায় ১৯৪৭ সালে নির্মিত হয় একটি বিশেষ ঘড়ি। নাম ডুমসডে ক্লক। বিশ্বব্যাপী বিপর্যয় ঘনিয়ে আসচে আর কতক্ষণ দেরি তার হিসেব দেয় এই ঘড়ি। তবে সাধারণ সময়ের নিয়মে এর কাঁটা ঘোরে না। এর কাঁটা কতটা ঘুরবে তা ঠিক করেন পরমাণু বিজ্ঞানীরা (অ্যাটমিক সায়েন্টিস্ট)। এই ঘড়ি মাফিক রাত বারোটা বাজলে মনে করা হয়, বিপর্যয় ঘনিয়ে এল। পৃথিবীর ভয়াবহ ক্ষতি হবে মানুষের দ্বারাই। সেই বারোটা বাজার দিকে কতটা এগিয়ে চলেছে কাঁটা, তাই বলে দেন পরমাণু বিজ্ঞানীরা।
এই ঘড়ি অনুযায়ী ২০২৩ সালে পৃথিবীর বিপর্যয় নেমে আসতে আর ৯০ সেকেন্ড বাকি। এর বেশিরভাগটাই ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি। ইউক্রেনের যুদ্ধ দেখতে দেখতে এক বছর পেরিয়ে পরের বছরে পা রাখতে চলেছে। বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে যুযুধান দুই পক্ষেরই। রাশিয়া আর ইউক্রেনের লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর একাধিক শক্তিশালী দেশ। এছাড়াও, বিভিন্ন সময় যুদ্ধে পরমাণু বোমা ব্যবহারের আশঙ্কাও করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে এমন জটিল পরিস্থিতি ও একরোখা মনোভাবের জন্যই সামনের দিন আরও অন্ধকার হতে পারে বলে ধারণা পরমাণু বিজ্ঞানীদের। গত অগাস্টে রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি আন্তেনিও গুতেরেসের মুখেও একই সাবধানবাণী শোনা গিয়েছে। তাঁর কথায়, পারমাণবিক বিপদ ঘনিয়ে আসছে পৃথিবীতে। যা ঠান্ডা লড়াইয়ের পর থেকে একবারও দেখা যায়নি।
ঘড়ির সময়পঞ্জি:
ঘড়ির সময়পঞ্জি
(Bulletin of atomic sceintist)
- ঘড়ির সময়পঞ্জির দিকে তাকালেই বোঝা যাবে কীভাবে ঘনিয়ে আসছে সময়।
- ঠান্ডা যুদ্ধের শেষে ১৯৯১ সালে প্রথমবার ১২ টা থেকে ১৭ মিনিট দূূরে ছিল কাঁটা। ১৯৪৭ সালের পর থেকে এটিই সবচেয়ে বেশি নিরাপদ সময় ছিল। এরপর সেই দূরত্ব কমেছে দিন দিন।
- উত্তর কোরিয়ার পরমাণু বোমা পরীক্ষার সময় অনেকটাই কমে আসে সে দূরত্ব।
- কোভিডের পর মাত্র ১০০ সেকেন্ড দূরে ছিল কাঁটা। এখন তা নেমে এসেছে ৯০ সেকেন্ডে!
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup