২০২৩-এর পদ্ম পুরস্কার আসলে ‘জনগণের পদ্ম’, ‘মন কি বাত’ জানালেন প্রধানমন্ত্রী
এই বছর পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ছিলেন উপজাতীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা। এছাড়াও উপজাতীয় সমাজের সেবায় যুক্ত ব্যক্তিরাও পদ্মসম্মানে ভূষিত হচ্ছেন। রবিবার সকালে তাঁদের কথাই উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’-এ। এবারের পদ্ম পুরস্কারকে ‘জনগণের পদ্ম’ বলে চিহ্নিত করেন মোদী। বর্তমান শাসকদলের ‘নতুন ভারত’ গড়ে তোলার পথে এ বড়সড় পদক্ষেপ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার ‘জনগণের পদ্ম’ আন্দোলনকেই তুলে ধরেন। বলেন গণবন্টনে্য একটি দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন এনেছে এই ঘটনা। তাঁর কথায়, ‘উপজাতি জনগোষ্ঠীর জীবন শহরের জীবন থেকে আলাদা, এর নিজস্ব চ্যালেঞ্জও রয়েছে। তবে এত কিছুর পরেও আদিবাসী গোষ্ঠী সবসময় তাদের ঐতিহ্য রক্ষা করতে আগ্রহী।’
এই বছর উপজাতী গোষ্ঠী থেকে চিত্রশিল্পী, ও সঙ্গীতজ্ঞ, কৃষক, কারিগরের মতো বিভিন্ন ব্যক্তি পদ্ম পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। মন কি বাতের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘আমি সমস্ত দেশবাসীকে তাঁদের অনুপ্রেরণামূলক গল্প পড়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
টোটো, হো, কুই, কুভি এবং মান্দার মতো উপজাতীয় ভাষা নিয়ে কাজ করেছেন এমন অনেক মহান ব্যক্তিত্বও এই বছর পদ্ম পুরস্কার পেয়েছেন। নরেন্দ্র মোদীর কথায়, ‘এটা আমাদের সকলের জন্য গর্বের বিষয়। সিদ্দি, জারোয়া এবং ওঙ্গে উপজাতিদের সঙ্গে কাজ করা ব্যক্তিদেরও এবার পুরস্কৃত করা হয়েছে।’
সেভাবে তাঁদের কথা কেউ জানে না অথচ দীর্ঘদিন বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের কাজের মাধ্যমে ছাপ রেখে গিয়েছেন এমন ব্যক্তিদেরও পদ্ম পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার দিলীপ মহলানবিশ, যিনি ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ওআরএস) ব্যবহারের প্রথম পথপ্রদর্শক। মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ পুরস্কারে তাঁকে সম্মানিত করা হয়। জারোয়াদের চিকিৎসায় দীর্ঘদিন ধরে জড়িত বাঙালি চিকিৎসক রতনচন্দ্র করকেও পদ্ম সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে এই বছর। এঁদের পাশাপাশি হীরাবাই লবি, মুনীশ্বর চন্দর দাওয়ারের মতো প্রচারের আলোয় না থাকা মহান ব্যক্তত্বরাও পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী এদিন মন কি বাত-এ ‘ইন্ডিয়া – দ্য মাদার অফ ডেমোক্রেসি’ শিরোনামের একটি বইয়েরও সুপারিশ করেছেন।
তাঁর কথায়, ‘আজ যখন আমরা ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর সময় আমাদের প্রজাতন্ত্র দিবস নিয়ে আলোচনা করছি, আমি এখানে একটি আকর্ষণীয় বইয়ের কথাও উল্লেখ করব। বইটির নাম ইন্ডিয়া – দ্য মাদার অফ ডেমোক্রেসি।’