Iman-Nilanjan Jamai Sasthi: ‘বাবাই আমার মা-বাবা সব…. মা এখন অন্য কোথাও পার্টি করছে নির্ঘাত’, জামাইষষ্ঠীতে ইমন
রিচুয়াল প্রিয় বাঙালির কাছে আজকের দিনটা খুব খাস। দিনভর জামাইষষ্ঠীর উদযাপনে মেতে বিবাহিত দম্পতিরা। মেয়ে-জামাইয়ের আদর-আপ্য়ায়নের ব্যস্ত পরিবার। বাদ নেই তারকারাও। এই বছর ছোট করেই জামাইষষ্ঠীর উদযাপন সারলেন এই মিউজিক্যাল জুটি। ইমন জানিয়েছেন, শ্বশুরমশাইয়ের প্রেসমেকার বসায় ছোট করে উদযাপন চলবে। বাবা এসেছেন তাঁর ফ্ল্যাটে।
দেখতে দেখতে এটা নীলাঞ্জনের তিন নম্বর জামাই ষষ্ঠী। তবে এখন নতুন বিয়ের গন্ধ গায়ে লেগে রয়েছে জুটির। জামাইষষ্ঠীর দিন নস্টালজিয়ায় ভাসলেন ইমন। এদিনটা মূলত শাশুড়ি আর জামাইদের দিন হিসাবেই পরিচিত। তবে মা-হারা ইমনের বরের জামাই আদরে কোনও খামতি রাখেন নি বাবা। বরং একইসঙ্গে মা-বাবা দুই ভূমিকায় পালন করেছেন, জানালেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী গায়িকা।
মায়ের স্মৃতিতে এদিন ডুব দিলেন ইমন। পাশাপাশি লিখলেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণগুলো বদলে যায়, কিন্তু সেই বদলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘তুমি যাকে ভালোবাসো’ খ্যাত গায়িকা লেখেন- ‘ছোটবেলা আজকের দিনে খুব মজা করতাম দিদুনবাড়িতে। তখন মা,বাবাই,আমি, মাসিমণি,মামনি,দিদুন আর দাদু। কেন্দ্রবিন্দু তে বাবাই, কত খাওয়া … কত মজাই না হত। সুপ্ত বাসনা সেই ছোট থেকে- আমার যখন বিয়ে হবে,তখন সবাই মিলে এমন মজাই করব’। তারপর দিন পেরোলো; মা,দাদু ,দিদুন এখন আর নেই। অনেকে থেকেও নেই, পরিস্থিতি বদলে যায়। মানিয়ে নিতে অসুবিধে হলেও মানিয়ে নিতে হয়….’।
এরপর ইমনের সংযোজন, ‘সব কখনোই খারাপ হয় না। আমার বাবাই’ই আমার মা-বাবা সব জায়গায়। গতকাল রাতে কাকাই সব কিছু রেডি করে রেখেছে। শান্তির জল,পাখা, আরও যা যা লাগে সব। বাবাই সকালবেলায় সেজেগুজে চলে এল। রান্নাঘরের অনেক দায়িত্ব নাড়ু,আমি, বাপি আঙ্কেল সামলালাম। এবছর ভাইও (রূপায়ণ) ছিল। ছবি তোলার দায়িত্ত্ব নিয়ে নিল ও। ছোট্ট করে ,হৈ হৈ করে হয়ে গেল এ বছরের জামাই ষষ্ঠী।’
মা-কে হারানোর যন্ত্রণা প্রতি মুহূর্তেই সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু কাছের মানুষদের নিয়ে ভালো থাকার ফর্মুলাও জানা রয়েছে ইমনের। শুভদিনে প্রয়াত দুই মায়ের উদ্দেশে লিখলেন, ‘আমার আর নীলাঞ্জনের মা এখন অন্য কোথাও পার্টি করছেন নির্ঘাত। তবে মায়ের মত কিছু মানুষ আজকের দিনটা সুন্দর করে তুললো। আমরা দারুন খুশি’। ইমনের পোস্টে তাঁর বাবাকে ভালোবাসা আর প্রণামে ভরিয়ে দিয়েছে অনুরাগীরা।