Bonny Sengupta Sold His Car To Mumbai Resident Which Was Allegedly Funded By Kuntal Ghosh
সুকান্ত মুখোপাধ্য়ায় ও সত্য়জিৎ বৈদ্য়, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে টলিউড যোগ উঠে এসেছে। তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta) তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত কুন্তল ঘোষের থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। টাকা নেওয়ার কথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছেন বনি। তবে তাঁর দাবি, ইভেন্টের কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে গাড়ি কেনার টাকা কুন্তলের থেকে নিয়েছিলেন তিনি। সেই থেকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে বনির সেই বিলাসবহুল গাড়ি। গাড়িটি যদিও বিক্রি করে দিয়েছেন বনি। পরিবহণ দফতরের রেকর্ডে গাড়ির প্রথম মালিক হিসেবে নাম রয়েছে বনির। এবিপি আনন্দ সেই গাড়ির হদিশ পেল।
কুন্তলের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে, অভিনেতা বনিকে দুই দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, বনি যে ৫৬ লক্ষ টাকার বিলাসবহুল গাড়িতে চাপতেন, তার দামের বড় অংশ মিটিয়েছিলেন কুন্তল। বনি সেই সেই গাড়ি যদিও বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে গাড়ির হদিশ পেয়েছে এবিপি আনন্দ। বর্তমানে গাড়িটি রয়েছে মুম্বইয়ে।
বনির ওই গাড়িটি হল ল্য়ান্ডরোভার ডিসকভারি স্পোর্ট। ২০১৮ সালে বনি এই গাড়ি কেনার সময়, তার দাম ছিল ৫৬ লক্ষ টাকা। পরে নিউটাউনের বাসিন্দা সৌভিক মুখোপাধ্য়ায় একটি অনলাইন সংস্থার মাধ্য়মে গাড়িটি কেনেন। সৌভিক কর্মসূত্রে বেশিরভাগ সময় মুম্বইয়ে থাকেন। গাড়িটি বর্তমানে সেখানেই রয়েছে।
এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে, সৌভিক বলেন, “আমি বনিকে চিনি না। আমি ডিলারশিপ থেকে নিয়েছি গাড়ি। চেকে দাম মিটিয়েছিলাম। আইনি পথেই হ্যান্ডওভার হয়েছে গাড়ির।” সৌভিক গাড়িটি কেনার পরও পরিবহণ দফতরের তথ্য়ে দেখা যাচ্ছে, এই গাড়ির প্রথম মালিক অনুপ্রিয় সেনগুপ্ত, অর্থাৎ বনি সেনগুপ্ত। ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর এজেসি বোস রোডের একটি শোরুম থেকে ল্য়ান্ডরোভারের ডেলিভারি নিয়েছিলেন তিনি। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল আলিপুরে। তখন গাড়িটির দাম ছিল ৫৬ লক্ষ টাকা।
ইডি সূত্রে দাবি, ৪৪ লক্ষ টাকা শোরুমে দিয়েছিলেন কুন্তল। বাকি টাকা দিয়েছিলেন বনি। যদিও বনির বক্তব্য, “উনি আমাকে ব্ল্যাকে বলেছিলেন। না বলেছিলাম আমি। হোয়াইটে ট্রানজ্যাকশন হবে বলেছিলাম। সেই জন্যই গাড়ির অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়েছিলাম, আমার অ্যাকাউন্টে নয়।” বনি জানিয়েছেন, কাজের পারিশ্রমিক হিসেবেই কুন্তলের থেকে ওই টাকা নেন তিনি। কুন্তলও জানান, তাঁর ইভেন্টে পাঁচ বছর কাজ করেছেন বনি। জানিয়েছেন, ইভেন্টের টাকা নিয়ে বনি কী করেছেন, জানা নেই তাঁর।
যে গাড়িকে নিয়ে আলোচনা, ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই গাড়ি বনির কাছে ছিল। বনির দাবি, তারপর তিনি গাড়িটি শোরুমে দেন। তার পর একটি সংস্থার ওয়েবসাইটে বিক্রির জন্য় গাড়িটির ছবি আপলোড করা হয়। দাম দেওয়া হয় ৩৯ লক্ষ টাকা। সেখান থেকেই ৩৮ লক্ষ টাকায় গাড়িটি কেনেন সৌভিক। কুন্তলের সঙ্গে লেনদেন নিয়ে বনিকে ইতিমধ্য়ে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করলেও, এজেন্সির তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন, বনির গাড়ির বর্তমান মালিক সৌভিক।