প্রযোজককে ধর্ষণ, প্রোডাকশনের টাকায় যৌনকর্মীকে ডাকার অভিযোগ শাকিবের বিরুদ্ধে! তোলপাড় বাংলাদেশ Shakib Khan accused of physical assault harassment to an woman producer of his film and detained in Australia – News18 Bangla
ঢাকা: বাংলাদেশের নায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ! মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, ধর্ষণ, অসদাচরণের মতো অভিযোগে বিদ্ধ অভিনেতা। অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির শ্যুটিংয়ে সহ-প্রযোজককে ধর্ষণ করেন বলে দাবি করেছেন ছবির আর এক প্রযোজক রহমত উল্লাহ। তারই জেরে সেই দেশে গ্রেফতারও হয়েছিলেন শাকিব।
বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে ২০১৭ সালে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ফিল্ম আর্টিস্টিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেখানে নায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি যে ছবি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন, সেটি শেষ করেননি। ছবির ক্ষতি হয়েছে তাঁর জন্য। তা ছাড়া হোটেলের রুমে মহিলা প্রযোজককে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। যার জেরে নির্যাতিতা ভয়ানক ভাবে শারীরিক আঘাত পেয়েছিলেন। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাওয়ার পর শাকিবকে আটক করে সে দেশের পুলিশ। কিন্তু নির্যাতিতা নিজে কোনও বয়ান দিতে রাজি নন বলে প্রশাসন আর কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ডিভোর্সে ইতি? অর্ণব-ঈপ্সিতার প্রেমের ছবি ভাইরাল, তবে ক্যাপশনে বাড়ল ধোঁয়াশা!
অভিযোগপত্রে যে যে অভিযোগগুলির কথা লিখেছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ, তা হল, কোনও ঘোষণা ছাড়াই শ্যুটিং বাতিল করে দিয়েছেন শাকিব। সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়ে গিয়েছিল। শাকিবের খাদ্যাভ্যাসের কারণে যখন তখন বিভিন্ন জিনিসের দাবি জানাতেন, ফলে পুরো ইউনিট সেই কাজেই ব্যস্ত থাকত। তার জেরে ছবির বাজেট বেড়ে গিয়েছিল। বহুদিন এমন হয়েছে যে তিনি সারা দিন সবাইকে অপেক্ষা করিয়ে রাখতেন, শেষ বেলায় গিয়ে অল্প শ্যুট করে আসতেন।
আরও পড়ুন: রোশনের সঙ্গে ফের সংসার করবেন শ্রাবন্তী? আদালতে এমনই মামলা নায়িকার তৃতীয় স্বামীর
এছাড়াও ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে, যৌনকর্মীদের নিজের হোটেলে ডাকতেন বা নিজে যেতেন যৌনপল্লিতে। তার খরচ দিতে হত প্রযোজককেই। অভিযোগপত্রে রহমত উল্লাহ লিখেছেন, ‘একবার তিনি আমাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করে বসলেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করলেন। গুরুতর জখম-সহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। নির্যাতিতা তখন এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত নারী। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। এই ঘটনার পর তিনি এবং তার পরিবার সামাজিকভাবে যেই গ্লানি এবং কুৎসার স্বীকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তার নিজের এবং তার পরিবারের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ওইদিন আমরা যখন সহকর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত, শাকিব খান সেইদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে চুপিসারে চলে যান।’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bangladesh, Shakib khan