This school in Jalpaiguri is running without students

জলপাইগুড়ি: স্কুল আছে, আছেন শিক্ষিকা। কিন্তু নেই ছাত্রী! এমনই অবস্থা ময়নাগুড়ির চাত্রারপাড় গার্লস জুনিয়র হাইস্কুলের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে যে সব স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা হাতে গোনা, সেগুলি নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের একটি তালিকা তৈরি করেছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। সেই প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত‌ও হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে বাংলার মোট ৮২৭৬ টি স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩০ এর কম।

কম পড়ুয়ার স্কুলের তালিকায় নাম আছে জলপাইগুড়ির এই স্কুলটির‌ও। এখানে তিনজন শিক্ষিকা ও একজন গ্রুপ-ডি কর্মী আছেন। কিন্তু খাতায়-কলমে ছাত্রীর সংখ্যা মাত্র ২। তাও তারা রোজ স্কুলে আসে না। বৃহস্পতিবার আমাদের প্রতিনিধি এই স্কুলে গিয়ে দেখেন, শুধুমাত্র গ্রুপ ডি কর্মী এসেছেন। শিক্ষিকা বা ছাত্রী কারোর দেখা নেই। তবে তিন শিক্ষিকার মধ্যে দু’জনকে ডেপুটেশনে অন্য স্কুলে পাঠানো হয়েছে। বাকি শিক্ষিকা‌ও ঐদিন অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে একমাত্র গ্রুপ-ডি কর্মী চাতক পাখির মত বসেছিলেন যদি দুই ছাত্রীর একজনও স্কুলে আসে।

আরও পড়ুন: রনডিয়া বাঁধের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আকর্ষণ করছে পর্যটকদের

তবে ছাত্রীদের মধ্যে কেউ স্কুলে এলে তাকে কে পড়াত তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। হয়ত ওই গ্রুপ-ডি কর্মীকেই তখন শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হত। এই পরিস্থিতিতে কম পড়ুয়া থাকার কারণে চাত্রারপাড় গার্লস জুনিয়র হাইস্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। যদিও তাঁরা চাইছেন স্কুলটি বন্ধ না করে এর উন্নতির দিকে মন দিক সরকার, আরও ছাত্রী ভর্তি হোক সেখানে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কোন‌ও স্কুলে কম পড়ুয়া থাকাটা সেই স্কুলকে আরও রক্তাল্পতার দিকে ঠেলে দেয়। কারণ শিশুরা স্কুলে গিয়ে টিফিন ভাগ করে খাবে, খেলবে, বন্ধুত্ব করবে এগুলোই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু পড়ুয়া কম থাকলে তাদেরও আর স্কুলে যেতে ভালো লাগে না। সেই দেখাদেখি পরের সেশনে অভিভাবকরাও সন্তানদের আর সেখানে ভর্তি করতে চান না। জলপাইগুড়ির এই স্কুলটিতেও তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।

Read also  ভার্চুয়ালি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, PM Modi will inaugrate Vande Bharat Express virtually

সুরজিৎ দে

আপনার শহর থেকে (জলপাইগুড়ি)

জলপাইগুড়ি

জলপাইগুড়ি

Published by:kaustav bhowmick

First published:

Tags: Jalpaiguri News, School, Student, Teacher

Source link