Mamata Banerjee: কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে আপের লড়াইয়ে থাকবে তৃণমূল, কেজরীওয়ালকে আশ্বাস মমতার
দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা ‘হাতে রাখার’ জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অধ্যাদেশের (অর্ডিন্যান্স) বিরুদ্ধে আপের পাশে থাকবে তৃণমূল। সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে অধ্যাদেশটি পাশ করানোর চেষ্টা করবে মোদী সরকার। তাঁর দল এর বিরোধীতা করবে আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে নবান্নে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে নবান্নে দেখা করতে আসেন মমতার সঙ্গে দেখা করতে আসেন আপের দুই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল ও ভগবন্ত সিং মান। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে এসেছেন আপ নেতা রাঘব চাড্ডা ও অতিশী। বৈঠকের মূল আলোচনার বিষয় ছিল কেন্দ্রে এই অধ্যাদেশ। এর আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গেও এ নিয়ে দেখা করেন। তাঁরা আশ্বাস দেন, বাদল অধিবেশ এই অধ্যাদেশ আনা হলে তারা বিরোধিতা করবে। এ ছাড়া বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা বলেছেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল।
কী এই অধ্যাদেশ
১১ মে সুপ্রিম প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, আমলাদের রদবদল থেকে যাবতীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের। কিন্তু তার পর দিনই রাত ১১টা. অর্ডিন্যান্স এনে ১০ পাতার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্র। তাতে বলা হয়, জাতীয় রাজধানী সিভিল সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ব্যাপারে সেই কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নেবে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হবেন এর চেয়ারপার্সন।
কিন্তু দেখা যায় এই কমিশনে কেন্দ্র এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নরের প্রতিনিধি সংখ্যাই বেশি থাকবে। তাই আমলাদের বদলি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সংখ্যা নিরীখে তাঁরাই ‘নির্ণায়ক’ হবেন।
বিরোধীদের জোট
তবে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এই অধ্যাদেশকে কেন্দ্র করে একজোট হতে পারে বিরোধীরা। মাঝে গোয়ার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুরত্ব তৈরি হয়েছিল আপের সঙ্গে তৃণমূলের। সেই দুরত্ব দূর করে কাছে আসার রাস্তা তৈরি করে দিল কেন্দ্রের অধ্যাদেশ। যা লোকসভা নির্বাচনের আগে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।