৩০ মে’র মধ্যে করতে হবে ‘এই’ কাজ! পড়ুয়াদের কেন্দ্রীয় ‘স্কলারশিপ’ নিয়ে জেলায় জেলায় বড় নির্দেশ নবান্নের Nabanna West Bengal govt ministry Taking initiative for central Projects sending directives – News18 Bangla

কলকাতা : আধার কার্ড নিয়ে সংশয়, পড়ুয়াদের দেওয়া তথ্যে ভুল। আটকে গিয়েছে প্রি ও পোস্ট ম্যাট্রিক কেন্দ্রীয় স্কলারশিপ। তফসিলি জাতি ও অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণীর পড়য়াদের জন্য দেওয়া হয় প্রি-মাট্রিক ও পোস্ট-মাট্রিক সরকারি বৃত্তি। কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পের বৃত্তি আধার বেসড পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে হওয়ার জন্যই প্রাপ্তির সংখ্যা বাড়ছে না। তাই তৎপর হল নবান্ন।

রাজ্যে তফসিলি জাতি ও অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণীর পড়ুয়াদের বৃত্তি নিয়ে আবেদন জানানোর পদ্ধতিতে খামতি দূর করতে গরমের ছুটির পর স্কুল খুললেই রাজ্য কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন ওরিয়েন্টাশান শিবির খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। স্কুলের যে শিক্ষকরা ছাত্রদের এই বৃত্তি পাওয়ার আবেদনপত্র তৈরি করার দায়িত্বে রয়েছে তাদেরই বাধ্যতামূলকভাবে এই শিবিরে যোগ দিতে হবে। যাতে পড়ুয়াদের বৃত্তির জন্য আবদেনপত্রকে ত্রুটি মুক্ত করা যায়।

আরও পড়ুন: ঘুম ভাঙতেই Sugar Level সপ্তমে? হাই ব্লাড সুগারে রাতে এই চরম ভুলগুলি করছেন না তো! ডায়াবেটিসে কিন্তু সতর্ক হন!

অনগ্রসর কল্যাণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,রাজ্য সরকারের শিক্ষাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে নয় লক্ষ পড়ুয়াকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে গত আর্থিক বছরে। একই সময় প্রি-মাট্রিক অর্থাৎ দশম শ্রেণী বা তার নীচের ক্লাসে পড়েন এমন তফসিলি জাতি ও অন্যান্য পশ্চাদপদশ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পেতে সমস্যা হচ্ছে। দেখা গিয়েছে, যারা আবেদন করেছেন তাদের একটা অংশ আধার কার্ড ও জাতিগত শংসাপত্র আবেদনের সঙ্গে জমা দেয়নি। অনেকে আধার কার্ডের নম্বর ভুল লিখেছে। পারিবারিক আয়ের সার্টিফিকেট দেয়নি। এছাড়াও অনেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছে কিন্তু তার সঙ্গে আধার কার্ড সংযোগ করা নেই। এর ফলে গত বছর থেকে তারা বৃত্তি পাচ্ছে না।

তদন্তে দেখা গিয়েছে, এই আবেদনগুলি স্কুল থেকে অনলাইনে নির্দিষ্ট পোর্টালে করতে হয়। প্রতিটি স্কুলেই এজন্য একজন নোডাল শিক্ষক থাকেন। অনলাইনে আবেদন জানানোর সময় তথ্য পেশ করার ক্ষেত্রে ত্রুটি হচ্ছে। আধার কার্ডের ভুল নম্বর দেওয়ার এটাই কারণ বলে মনে করছে রাজ্য অনগ্রসর কল্যাণ দফতর। ফলে পড়ুয়ারা স্কলারশিপ বা বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের অন্যাগ্রসর কল্যান সচিব সঞ্জয় বনশাল জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে ৩০ মে’র মধ্যে পড়ুয়াদের আবেদনের থাকা আধার কার্ড, শংসাপত্র, পারিবারিক আয়ের সার্টিফিকেট ও ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত ত্রুটি দুর করে পেশ করতে বলা হয়েছে।

Read also  Dilip Ghosh: 'টাকা খরচের হিসেব দিন, কেউ আপনার টাকা আটকাবে না’, দিলীপের নিশানায় রাজ্য সরকার

স্কুলগুলির সঙ্গে জেলাশাসকদের যোগাযোগ করে দ্রুত কাজগুলি করতে বলা হয়েছে। যাতে পড়ুয়ারা বৃত্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়। কারণ ১৬ জুনের পর চলতি আর্থিক বছরের বৃত্তির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে আবেদন নেওয়া হবে।

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

Published by:Sanjukta Sarkar

First published:

Tags: Student scholarship, West bengal schools

Source link