স্কুলে ছাত্রসংখ্যা মাত্র ২! এই রাজ্যেই আছে এমন আজব স্কুল|| primary school is running with two students only in cooch behar kalmati. – News18 Bangla

#কালমাটি: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথা মাথায় আসলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে শ্রেণিকক্ষের ভেতরে ছোট ছোট অনেক পড়ুয়ার ছবি। তবে সীমান্ত এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেখানে ছাত্র সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যালয়ে ক্লাস চলছে দুজন মাত্র পড়ুয়া নিয়ে। হ্যাঁ, ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। তবে খাতায়-কলমে এই বিদ্যালয়ের পড়ুয়ার সংখ্যা ২৫ জন থাকলেও নিত্য উপস্থিত হচ্ছেন মাত্র দুজন। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে পড়ুয়াদের অভাব চিহ্নিত করে দিচ্ছে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যাকে। দীর্ঘদিনের এই সব সমস্যাগুলোর জন্য বর্তমান সময়ে এই বিদ্যালযয়ে ছাত্ররা আসতেই চাইছে না। তাই গোটা বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ফুটে উঠেছে শিক্ষিকাদের চোখে মুখে।

বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা মঞ্জু পাল জানাচ্ছেন, “দীর্ঘ সময় ধরে এই বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার রাস্তার একেবারেই বেহাল দশা। এছাড়াও বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল খাবার কোন শেড নেই। তাই বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বিদ্যালয়ের মাঠে কিংবা ক্লাসরুমের ভেতর বসে মিড ডে মিল খাওয়া সারতে হচ্ছে। মিড ডে মিলের রান্নাঘর এখনো পর্যন্ত কাঁচা অবস্থায়। বিদ্যালয়ের মাত্র দুটি শ্রেণীকক্ষ। বাকি দুটি শ্রেণী কক্ষের একেবারেই বেহাল দশা। এই সমস্ত কারণেই বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বিদ্যালয়ে এসে উপস্থিত হতে চাইছে না। তাই বিদ্যালয়ে প্রতিদিন দুজনের বেশি ছাত্র কিংবা ছাত্রী আসছে না। সব মিলিয়ে একপ্রকার ধুঁকছে এই সীমান্তবর্তী এলাকার বিদ্যালয়টি। তবে এলাকার রাস্তা সংস্কার এবং অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়ে বহুবার আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।”

আরও পড়ুন: ১২৯ বছর পুরনো ঐতিহ্যবাহী মা ভদ্রাকালীর পুজো! সঙ্গে মেলা, সবমিলিয়ে জমজমাট গোপালপুর

আরও পড়ুন: বামনহাট বাজারে দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জল নেই! গরমের আগে সমস্যা সমাধানের আর্জি

বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার এই এলাকায় কৃষিজীবী ও দিনমজুর বেশি রয়েছেন। খুব স্বল্প সংখ্যক মানুষ রয়েছেন যাদের আর্থিক অবস্থা অনেকটাই ভাল। তবে এই সকল দরিদ্র শ্রেণীর মানুষদের পরিবারের বাচ্চাদের সরকারি বিদ্যালয় ছাড়া কোনও গতি নেই। তবে সরকারি বিদ্যালয়ের ও যদি এরকম বেহাল দশা হয়ে থাকে। তবে বিদ্যালয়ে বাচ্চাদের সঠিক পঠন-পাঠন কি করে সম্ভব। সেই বিষয় নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। দীর্ঘ সময় ধরে এই একই পরিস্থিতি চলে আসার কারণে বর্তমান সময়ে বাচ্চাদের আর এই বিদ্যালয়ে পাঠাতে চাইছেন না তাদের অভিভাবকেরা। অন্য এলাকার বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি ভালো থাকার কারণে সেখানেই যেতে বাধ্য হচ্ছে এই এলাকার বিদ্যালয় পড়ুয়ারা।

Read also  Porn in Patna Station: প্ল্যাটফর্মে পর্ন! রেলের টিভির দুষ্টুমিতে তুলকালাম পটনায়...

Sarthak Pandit

Published by:Ankita Tripathi

First published:

Tags: Cooch Behar news, Primary School

Source link