সংখ্যালঘু মুসলিম ভোট নিয়ে উদ্বেগ জারি, কালীঘাটের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত মমতার | তৃণমূলের সংখ্যালঘু মুসলিম ভোট নিয়ে উদ্বেগের জেরে কালীঘাটের বৈঠকে কড়া সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে ধস নামতে শুরু করেছে?

সাগরদিঘির ভোটে পরাস্ত হওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠে পড়েছিল, তবে কি তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে ধস নামতে শুরু করেছে? মুসলিম ভোটাররা সরে যাচ্ছেন তৃণমূলের পাশ থেকে? তা নিয়ে চর্চা চলছিল। এদিন বৈঠকে মমতা নিলেন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতিকে।

তৃণমূল সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে চিন্তিত, স্পষ্ট সিদ্ধান্তে

তৃণমূল সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে চিন্তিত, স্পষ্ট সিদ্ধান্তে

সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন, যা স্পষ্ট করে দিচ্ছে তৃণমূল সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে চিন্তিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও করেছেন। তিনি একটি উপনির্বাচনে হারের কারণ জানতে পাঁচ জনের কমিটি তৈরি করেছেন।

দলের সংখ্যালঘু শাখায় পরিবর্তন আনলেন মমমতা

দলের সংখ্যালঘু শাখায় পরিবর্তন আনলেন মমমতা

এখন আবার তিনি দলের সংখ্যালঘু শাখায় পরিবর্তন আনলেন। তৃণমূলের মাইনোরিটি সেলের রাজ্য সভাপতি বদল করলেন তিনি। শুক্রবার কালীঘাটে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুলকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে চেয়ারম্যান পদে নিয়ে এলেন।

তৃণমূল যে যুব নেতৃত্বের উপর ভরসা রাখল

তৃণমূল যে যুব নেতৃত্বের উপর ভরসা রাখল

এদিনই বেছে নেওয়া হল তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নতুন সভাপতি। সভাপতি করা হল ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেনকে। তিনি উত্তর দিনাজপুর যুব তৃণমূলের সভাপতি। তাঁকে সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি করায় তৃণমূল যে যুব নেতৃত্বের উপর ভরসা রাখল তা বলাই যায়।

সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পর রদবদল, অশনি সংকেত

সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পর রদবদল, অশনি সংকেত

উত্তর দিনাজপুরেই এক সংখ্যালঘু বিধায়ক তৃণমূলে বিদ্রোহী হয়েছেন। তারপর সেই উত্তর দিনাজপুর থেকেই সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি বেছে নিলেন মমতা। তাঁর সিদ্ধান্তে স্পষ্ট সংখ্যালঘু শাখায় তিনি নতুন মুখ এনে ক্রাইসিস ম্যানেজ করতে চাইছেন। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পর এই রদবদলে অশনি সংকেত দেখছে রাজনৈতিক মহল।

সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সাগরদিঘিতে হারের কারণই নেপথ্যে

সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সাগরদিঘিতে হারের কারণই নেপথ্যে

এতদিন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের রাজ্যের চেয়ারম্যান ছিলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁকেও অবশ্য গুরুদায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিদ্দিকুল্লাকে। এইসব সিদ্ধান্তের পিছনে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সাগরদিঘিতে হারের কারণ রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত অন্য জল্পনা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত অন্য জল্পনা

যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানতে নারাজ, যে সংখ্যালঘুরা তাদের ছেড়ে যাচ্ছে। তাঁর কথায়, সংখ্যালঘুরা আমাদের সঙ্গে আছে। আমাদের সংখ্যালঘু ভোট কমেনি। সাগরদিঘিতে তাঁরা হেরেছেন নিজেদের দুর্বলতার কারণে। অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত কিন্তু অন্য জল্পনা ছড়াচ্ছে।

কেন ভোট কমল, তা জানতে চেয়েছে তৃণমূল

কেন ভোট কমল, তা জানতে চেয়েছে তৃণমূল

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না মানলেও সাগরদিঘিতে ভোট কমে যাওয়া যে তাঁর চিন্তা বাড়িয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ তৃণমূলের ভোট শতাংশ ৫০.৯৫ থেকে কমে ৩৪.৯৩ শতাংশ হয়েছে। তার ফলে কেন ভোট কমল, তা জানতে চেয়েছে তৃণমূল। একুশের ভোটে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে জেতা আসন তারা হেরেছে ২২ হাজারেরও বেশি ভোটে।

Read also  আবাস যোজনায় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী-শাশুড়ির নাম! এদিকে বিরাট অট্টালিকায় বাস! ফের চুরি

Source link