মুর্শিদাবাদকে তৃণমূল-মুক্ত করার সংকল্প অধীরের, সাগরদিঘি থেকেই শুরু উচ্ছেদ অভিযান | মুর্শিদাবাদকে তৃণমূল-মুক্ত করার সংকল্প গ্রহণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী
তৃণমূল এবার মুর্শিদাবাদে ক্ষয়িষ্ণু হতে শুরু করেছে
অধীরের কথায়, আজকে যোগদান হচ্ছে। তাতেই দিদির গায়ের জ্বালা আমরা ধরিয়ে দিয়েছি। এই তো শুরু, তৃণমূল এবার মুর্শিদাবাদে ক্ষয়িষ্ণু হতে শুরু করেছে। যত দিন যাবে, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে তৃণমূল দলকে উঠিয়ে দেওয়া হবে। এই জেলায় তৃণমূলের কোনো ঠাঁই নেই। মানুষ আর ভয় পেয়ে তৃণমূলে থাকবে না।

তৃণমূলকে উচ্ছেদ করার জন্য মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে
অধীর চৌধুরী বলেন, এই জেলায় তৃণমূল ‘অনুপ্রবেশকারী’। তাই তৃণমূলকে উচ্ছেদ করার জন্য মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তৃণমূল এখানে আগন্তক হয়ে এসেছিল, তাই তৃণমূল এখান থেকে উঠে যাবে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তার করতে এসেছিল, তাদের যেমন তাড়ানো হয়েছিল, তৃণমূলকেও সেভাবে তাড়িযে দেওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রীকে দ্বিতীয়বার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৈঠক করতে হচ্ছে
মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেও তৃণমূলকে উচ্ছেদ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয় তার প্রথম পদক্ষেপ। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের পর মুখ্যমন্ত্রীকে দ্বিতীয়বার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৈঠক করতে হচ্ছে, এটা আমাদের নৈতিক জয়। সারা পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আর কোনো ধ্যান নেই, এখন শুধু সাগরদিঘি নিয়ে ভাবছেন তিনি।

দিদি সাগরদিঘিতে আসুন, কবিতা লিখুন
অধীর চৌধুরী এই মর্মে কটাক্ষ করেন, দিদি সাগরদিঘিতে আসুন। এখানে খুব ভালো ভালো মাছ পাওয়া যায়। এখানে বসে কবিতা লিখুন। কারণ সাগরদিঘি থেকে শুরু হয়েছে তৃণমূল উচ্ছেদ অভিযান। মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে আপনাকে উচ্ছেদ করার অভিযান আমরা শুরু করে দিয়েছি ইতিমধ্যেই। এবার বাংলা থেকেও উচ্ছেদ হতে হবে।

আমরা এরকম অনেক সাগরদিঘি ঘটাব এবার
রবিবার ফের সাগরদিঘি নেতৃত্বকে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, সাগরদিঘির পরাজয় দিদি মেনে নিতে পারছেন না। এই একটা হারই দিদির মাথা খারাপ করে দিয়েছে। আমরা এরকম অনেক সাগরদিঘি ঘটাব এবার। আগামীদিনে তখন দিদির আর আরও মাথা খারাপ হয়ে যাবে।

বাংলার মানুষ আপনাকে প্রত্যাখ্যান করতে চায়
অধীর চৌধুরী বলেন, আগামীদিনে রাঁচির হাসপাতাল ব্যবস্থা করে রাখব দিদির জন্য। কারণ দিদিকে আমরা শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আপনি হাজারটা বৈঠক করুন। তাতে কিছু হবে না। সাগরদিঘির ভোটে মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলার মানুষ আপনাকে প্রত্যাখ্যান করতে চায়। কোনো কিছুতে কিছু লাভ হবে না।

আপনার অভিযোগের মধ্যেও সাম্প্রদায়িক বিভাজন
অধীর বলেন, আপনি এখানে আপনার দলের নেতাদের গালাগালি করছেন, সাংসদকে গালাগালি করছেন। সেখানে অনেক হিন্দু লিডার গিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে আপনার কোনো কথা বের হচ্ছে না। শুধু কি কয়েকজন সংখ্যালঘু নেতা গিয়েছিল সাগরদিঘির নির্বাচনে, হিন্দু নেতাও গিয়েছিল। কিন্তু আপনি তাদের বিরুদ্ধে কোনো কিছু বলছেন না, আপনার অভিযোগের মধ্যেও সাম্প্রদায়িক বিভাজন রয়েছে।