মিলল না মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এখনই আদালত আবমাননার মামলা করার অনুমতি | কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, এখনই আদালত অবমাননার মামলা নয়
হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কার্যত বড়সড় নিয়োগ দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। একের পর এক তৃণমূল নেতা আজ জেলে বন্দি! এই অবস্থায় একের পর এক অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি যাচ্ছে। আর তাতে কার্যত উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরি যাতে না যায় সে বিষয়টিকে দেখার কথা বলেছিলেন তিনি। আর এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক বক্তব্যকে হাতিয়ার করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্জ।

আইনজীবী হিসাবে এই মামলা দায়ের করতে রাজি নন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ কয়েকটি বক্তব্যকে উল্লেখ করে আদালতে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, আদালতের নির্দেশের দিয়েছে। এরপরেই চাকরি বাতিল নিয়ে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আর এহেন মন্তব্যে আদৌতে দুর্নীতিতে সুবিধাভোগীদের সমর্থন করাই বোঝাচ্ছে বলে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী। আর এরপরেই এই বিষয়টিকে নিয়ে আদালতের দৃষ্টী আকর্ষণ করা হয়। এবং স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করার কথা বলা হয়। তবে আইনজীবী হিসাবে এই মামলা দায়ের করতে রাজি নন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

হলফানামা জমা দেন আইনজীবী।
এই প্রসঙ্গে আইনজীবীর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করতে গেলে অ্যাডভোকেট জেনারেলের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে এজি তাঁকে অনুমোদন দেবে না বলে আদালতে জানান আইনজীবী। আর তাই আদালত যাতে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে সেই আবেদন জানিয়েছেন। অন্যদিকে এই বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার হলফানামা জমা দেন আইনজীবী। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের উপস্থিতিতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে ‘অসত্য মন্তব্য’ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যার মাধ্যমে বিভ্রান্ত এবং প্রভাব তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে বলে হলফনামায় দাবি আইনজীবীর। শুধু তাই নয়, বিচারাধিন বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা বলেও হলফনামায় দাবি বিকাশ ভট্টাচার্যের।

ঠিক কি বলেছেন মমতা
মঙ্গলবার আলিপুরের আদালতের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার পর কোনও কমরেডের চাকরি খাইনি। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলির একটি জাজমেন্টের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সিপিএম আমলে ওই জাজমেন্টে সংশোধন করে নেওয়ার কথা বলেছিলেন বিচারপতি। তবে হঠাত করে চাকরি চলে জাওয়াতে বিষয়টি মানবিক ভাবে দেখার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা নিয়েই বিতর্ক।