মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূতকে ‘ভূত’ আখ্যা, বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান শুভেন্দুর , Suvendu Adhikari address Mamata Banerjee’s messenger as ghost and messages to call in home
দিদির দূত, আসবে ভূত
শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি নিয়ে তির্যক মন্তব্য করে। তিনি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূতকে ভূত হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, আসবে দিদির দূত, আসবে ভূত। তাঁদেরকে আপনারা বাড়িতে নিয়ে যাবেন। যাঁরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা পেলেন না, তাঁরা তাঁদের ভাঙা বাড়িগুলো যত্ন করে দেখাবেন।

দিদির ‘দূত অ্যাপ’ ঘোষণা
এদিন নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের বর্ধিত কর্মসমিতির সভায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিদির ‘দূত অ্যাপে’র কথা ঘোষণা করেন। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে আগামী ৬০ দিন তৃণমূলের নতুন কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১০ কোটি মানুষের জন্য এই নতুন অ্যাপ বলে জানান অভিষেক।

ডিএ দিতে গেলেই বিদায়
এই প্রকল্পের সমালোচনায় বিরোধী দলনেতা বলেন, ২০২৩-এর জানুয়ারিতে রাজ্যের ঋণ ৬ লক্ষ কোটি টাকা। এবার ডিএ দিতে হবে এই সরকার নিজেই বিদায় নেবে। কাউকে তাড়াতে হবে না। এরপর তিনি বলেন, যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, এখন বরখাস্ত হচ্ছেন, তাঁরা কালীঘাটে গিয়ে টাকা চান।

শৌচালয় কটাক্ষা শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, নরেন্দ্রে মোদী গ্রামের মানুষের কথা ভাবেন। তাই নরেন্দ্র মোদী সাধারণ মানুষের জন্য শৌচালয় বানিয়ে দিয়েছেন। আর সেই শৌচালয় বানানো নিয়ে দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। এমন শৌচালায় বানানো হয়েছে, সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলকে ঢুকিয়ে দিলে আর বের করা যাবে না।

রাজ্য সরকারকে উৎখাতের ডাক
এদিন শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্যোকরপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে রাজ্য সরকারকে উৎখাতের ডাক দেন। তিনি বলেন, এই সরকারের পক্ষে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ৫০০ টাকা করে দেওয়া আর ভাতাগুলি চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনও কিছু করার ক্ষমতা নেই। এবার ২০১৫ সাল থেকে ডিএ দেওয়ার রায় বেরোলেই এই সরকারের পতন হবে।

রাজ্যকে ধ্বংস করছেন মুখ্যমন্ত্রী
শুভেন্দুর কথায়, রাজ্যকে ধ্বংস করছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে বেকার সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ২০১১-তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার সময় এরাজ্যে বেকার সংখ্যা ছিল ১ কোটি। বর্তমানে রাজ্যে বেকার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় দু’কোটি। পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০ লক্ষেরও বেশি

দুর্নীতি রাজ্যকে পিছিয়ে দিচ্ছে
শুভেন্দু বলেন, রাজ্যে দুর্নীতি বেড়েই চলেছে। যত প্রকল্প, তত দুর্নীতি। একশো দিনের প্রকল্প, শৌচালয় নির্মাণ, আবাস যোজনা, নিয়োগ- সর্বত্রই দুর্নীতির করাল ছায়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে কিছুই দিতে পারেননি। তিনি শুধু দিয়েছেন, ২৮ টাকার মদ আর ডিয়ার লটারি। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর উদাসীনতা এবং তাঁর দলের একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতি রাজ্যকে পিছিয়ে দিচ্ছে।