বাংলায় নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম আসছে। অস্বস্তি শাসকদলে

জিরো টলারেন্স নীতি তৃণমূলের

নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম সামনে এসেছে। গ্রেফতার হয়েছে হুগলির দাপুটে নেতা কুন্তল এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতে অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে অভিষেকের সঙ্গে কুন্তল এবং শান্তনুর একাধিক ছবি ভাইরাল। যদিও এই অবস্থায় দুই নেতাকেই দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে শাসক দল জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে নিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

 চাকরি থেকেও সরিয়ে দেওয়া হল

চাকরি থেকেও সরিয়ে দেওয়া হল

দল থেকে বহিস্কারের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই এবার চাকরি থেকেও সরিয়ে দেওয়া হল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নিয়ম অনুযায়ী, ৭২ ঘন্টা কোনও সরকারি কর্মী যদি পুলিশ হেফাজতে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট ওই কর্মীকে সাসপেন্ড করতে হয়। আর সেই নিয়ম মেনেই এই সাসপেন্ড বলে জানা গিয়েছে। শুধু সাসপেন্ডই নয়, ধৃত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। সেই মতো ব্যবস্থা বলেও খবর।

বাবার মৃত্যুর পরেই বিদ্যুৎ দফতরের চাকরিটি পান

বাবার মৃত্যুর পরেই বিদ্যুৎ দফতরের চাকরিটি পান

জানা গিয়েছে, বাবার মৃত্যুর পরেই বিদ্যুৎ দফতরের চাকরিটি পান শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে সেই চাকরি নাকি করতেন। কিন্তু তারকেশ্বর থেকে জেলা পরিষদের প্রার্থী হয়ে জয় পান। এমনকি কোষাধ্যক্ষ হিসাবে দীর্ঘদিন ধরেই কর্মরত ধৃত শান্তনু। এরপরেও কীভাবে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী হিসাবে দিনের পর দিন কর্মরত ছিলেন তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। প্রভাব খাটিয়েই কি এই চাকরি করতেন শান্তনু? যদিও এই বিষয়ে একেবারে স্পিকটি নট সংশ্লিষ্ট ওই বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা।

বলেও কাজ হয়নি

বলেও কাজ হয়নি

যদিও স্থানীয় বিরোধীদের দাবি, এই বিষয়ে বারবার আন্দোলন ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিদ্যুৎ দফতরেও জানানো হয়নি। কিন্তু কোনও কিছুতেই কিছু যায় আসেনি বলে দাবি স্থানীয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির। প্রভাব কজাটিয়ে শান্তনু যা ইচ্ছা করত বলে দাবি তাদের। তবে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে বলে দাবি বিদ্যুৎ দফতরের।

Read also  বিয়ের মণ্ডপে চুমু নয়, বর-বউয়ের তুমুল চুলোচুলি! ভাইরাল ভিডিয়ো

Source link