কংগ্রেস-বিজেপি থেকে সমদূরত্ব! ‘একলা চলো’র বার্তায় ২৪শে নয়া সমীকরণ রচনা তৃণমূলের | ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ও বিজেপি থেকে সমদূরত্ব রেখে চলার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক অখিলেশের
বছর ঘুরলেই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে তৃণমূল কী অবস্থান নেয়, তা নিয়ে এদিন বৈঠকের শুরু থেকেই চর্চা ছিল। একাধারে কালীঘাটে তৃণমূলের বৈঠক, অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব এসেছেন বাংলায়। তিনিও কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।

কংগ্রেস ও বিজেপি থেকে সমদূরত্ব তৃণমূলের
এই পরিস্থিতিতে কালীঘাটে তৃণমূলের বৈঠক শেষে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠক করে। সেই সাংবাদিক বৈঠকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন, কংগ্রেস ও বিজেপি থেকে সমদূরত্ব রেখে চলবে দল। অর্থাৎ কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলতে চায় তারা।

যে দল যে রাজ্যে শক্তিশালী তাদের সঙ্গে কথা
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে দল যে রাজ্যে শক্তিশালী তাদের সঙ্গে কথা বলবে তৃণমূল। সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে এদিনই। আগামী ২৩ মার্চ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডি সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে বৈঠক স্থির করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

একে একে আঞ্চলিক দলগুলিকে সম্বলিত করছে তৃণমূল
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল চাইছে একে একে আঞ্চলিক দলগুলিকে সম্বলিত করে সাফল্য আনতে। বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার তলা এনে কীভাবে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা যায়, তা-ই দেখাবে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সে জন্য কখন কী করতে হয় সেটা জানে তারা।

একলা চলো নীতিতেই বিশ্বাস রাখছে তৃণমূল
সুদীপের কথায়, নির্বাচনের পর পরিস্থিতি দেখে বিরোধী জোটের পন্থা ঠিক করবে তৃণমূল। নির্বাচনের আগে তাই একলা চলো নীতিতেই বিশ্বাস রাখছে তৃণমূল। তৃণমূল চাইছে বিভিন্ন রাজ্যের যে দল শক্তিশালী, সেই দলের সঙ্গে কথা চালিয়ে যেতে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও একলা চলার বার্তা দেন। রাজ্যে কংগ্রেস ও সিপিএম বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলছে।

রাহুল গান্ধীকে বিরোধী মুখ বানানোর চেষ্টা বিজেপির
তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, বিজেপি রাহুল গান্ধীকে বিরোধী মুখ বানানোর চেষ্টা করছে। কেননা রাহুলকে বিরোধী মুখ করতে পারেলে বিজেপিরই লাভ। সেই কারণে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে এত গুরুত্ব দিয়ে তারা তাঁকে প্রধান বিরোধী প্রতিপন্ন করতে চাইছেন। তাহলে বিজেপির দয়ের পথ অনেক সহজ হবে।

বিগ বস হওয়ার চেষ্টা করছে কংগ্রেস
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও অভিযোগ করেন, বিজেপি-বিরোধী জোটের বিগ বস হওয়ার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। কিন্তু তা আঞ্চলিক দলগুলি সবাই মানবে না। তাই তারা বিজেপি বিরোধী অবস্থানের পাশাপাশি কংগ্রেস বিরোধী অবস্থানও নিচ্ছে। সমাজবাদী পার্টি, বিজেডি এই অবস্থান মতোই চলছে। তৃণমূলও একই অবস্থানে রয়েছে।

১৫টি শরিক দল ইতিমধ্যেই এনডিএ ছেড়েছে
তিনি বলেন, ১৫টি শরিক দল ইতিমধ্যেই এনডিএ ছেড়েছে। তারপরও কংগ্রেস সবাইকে সম্বলিত করতে পারেনি। তারা বিজেপি বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে পারেনি সার্বিকভাবে। মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকে প্রথম বৈঠকেও গিয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস তাঁদের ভূমিকা পালনে ব্যর্থ। তৃণমূল যেদিন কর্মসূচি নিয়েছে, অন্যদল পরের দিন সেই কর্মসূচি নিয়েছে।