কংগ্রেসের বাড়া ভাতে জন্ম তৃণমূলের! দুই ভবিষ্যতের কথা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ অধীর চৌধুরীর | অধীর চৌধুরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলে, তাঁর সামনে দুটি ভবিষ্যত রয়েছে।
অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে কোনো তথ্য দেয়নি রাজ্য
অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে কেন্দ্রকে কোনও তথ্য দেয়নি রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনায় সেই তথ্যই তিনি জানতে পেরেছেন। কেন্দ্রকে পাঠানো চিঠিতে রাজ্য বলেছে, রাজ্যে মাত্র ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণে। তাঁর আরও অভিযোগ সংক্রমণ নিয়ে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তার ৪০ শতাংশ কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালের। রাজ্যের বাকি সব হাসপাতালের পরিস্থিতি জানা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

কোভিডের পরীক্ষা কমছে রাজ্যে
সারা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও কোভিডের সংক্রমণ বাড়ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এর পরীক্ষার সংখ্যা কমছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রদেস কংগ্রেস সভাপতি। যেখানে মাসের শুরুতে তিনশোর বেশি লোকের কোভিড পরীক্ষা হয়েছে, সেখানে বর্তমানে সেই পরীক্ষার সংখ্যা ১২০০-র মতো। যা স্বাস্থ্যবিভাগের দুরবস্থার প্রমাণ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

মুর্শিদাবাদে তৃণমূল আগন্তুক
মুর্শিদাবাদের তৃণমূলের কোনও কোনও নেতার সঙ্গে অধীর চৌধুরীর যোগাযোগ রয়েছে, বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে অধীর চৌধুরী বলেন, মুর্শিদাবাদ বরাবর কংগ্রেসের জায়গা, সেখানে তৃণমূল আগন্তুক। সেখানে কংগ্রেসের বাড়া ভাত খেয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, কংগ্রেসের বাড়া ভাতে জন্ম তৃণমূলের। ভয়, প্রলোভন, টাকা, পুলিশ দিয়ে তৃণমূল মুর্শিদাবাদ দখল করে রেখেছে। তিনি বলেন মুক্শিদাবাদের মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাজনীতি বেশি দিন চলবে না।

ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছে
মুর্শিদাবাদে তৃণমূলে কোনও ভাঙন নয়, কংগ্রেসে ফিরছেন পুরনোরা। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছে, বলেছেন অধীর চৌধুরী। দুই সাংসদ আবু তাহের এবং খলিলুর রহমান, দুজনই কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে গিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মুর্শিদাবাদে তৃণমূলে যাঁরা রয়েছেন, সবারই মূল কংগ্রেসে। তাই সবাইকে ফিরে আসার আহ্বান করেন অধীর। তিনি বলেন, কংগ্রেস ছাড়া দেশ বাঁচবে না।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবিষ্যত
অধীর চৌধুরী এদিন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই ভবিষ্যত। হয় কংগ্রেসের পা ধরে বাঁচতে হবে। না হলে মোদীর কাছে যেভাবে আত্মসমর্পণ করেছেন, তাকে পাকাপোক্ত করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা সময় বিজেপি সরকারের মন্ত্রী ছিলেন, ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়লে বিজেপি সরকারের মন্ত্রী হবেন বলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধান্দাবাজ এবং সুবিধাবাদী বলেও আক্রমণ করেন তিনি। গোধরা কাণ্ডের পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর বিবেক জাগলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদীকে লালগোপাল পাঠিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।