আপাতত স্থগিত সিভিক ভলান্টিয়ারদের স্কুলে পড়ানো! নয়া বিবৃতিতে যা জানাল বাঁকুড়া পুলিশ | পশ্চিমবঙ্গে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘিরে ব্রাত্য বসু কড়া প্রতিক্রিয়া

স্কুল শিক্ষা দফতরের কোনও নির্দেশ নয়।

ইতিমধ্যে সামনে এসেছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। একের পর এক স্কুলে চাকরি যাচ্ছে ভুয়ো শিক্ষকদের। রাজ্যের একাধিক স্কুলে শিক্ষক নেই। এই অবস্থায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রাথমিক স্কুলে পড়ানোর সিদ্ধান্ত সামনে আসে। আর তা সামনে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। তবে চাপের মুখে পড়ে রাতেই এই বিষয়ে রিপোর্ট চায় শিক্ষা দফতর। তবে আজ বৃহস্পতিবার ব্রাত্য বসু জানান, এটা স্কুল শিক্ষা দফতরের কোনও নির্দেশ নয়। এমনকি এই ধরনের কোনও প্রজেক্টকেও শিক্ষা দফতর অনুমোদন দেয় না বলেও দাবি শিক্ষামন্ত্রীর।

রিপোর্ট তলব করা হয়েছে

রিপোর্ট তলব করা হয়েছে

শুধু তাই নয়, এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, ইতিমধ্যে বাঁকুড়া পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রকল্পকে স্থগিত রাখার কথাও জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। এমনকি বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনকে বিষয়টিকে অনুমোদনের জন্যে আবেদন জানাতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, এটি স্থানীয় ভাবে করা হয়েছে। এর সঙ্গে শিক্ষা দফতরের কোনও যোগ নেই। তাও বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রশাসন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

স্কুল কিংবা ক্লাসের কোনও সম্পর্কই নেই

স্কুল কিংবা ক্লাসের কোনও সম্পর্কই নেই

তবে এই বিতর্কের মধ্যে চাপ বেড়েছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশেও। পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে নতুন করে একটি বিবৃতি তাঁরা দিয়েছেন। সেখানে দাবি করা হয়েছে, সিভিক ভলেন্টিয়াররা গ্রামের কোনও এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ক্লাস নেবেন। এর সঙ্গে স্কুল কিংবা ক্লাসের কোনও সম্পর্কই নেই বলে দাবি পুলিশের। মূলত স্কুলের বাইরে পড়ুয়াদের মধ্যে দক্ষতা এবং শিক্ষার প্রসার ঘটাতেই এহেন কর্মসূচি বলেও দাবি করা হয়েছে বাঁকুড়া পুলিশের তরফে। শুধু তাই নয়, অঙ্কুর নামে যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে পুলিশের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে।

 'সিদ্ধান্তহীনতা'য় ভূগছেন

‘সিদ্ধান্তহীনতা’য় ভূগছেন

তবে এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন নাগরিক সমাজ। একাধিক বুদ্ধিজীবী এবং সাহিত্য চর্চা করেন এমন মানুষ এই বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অন্যদিকে বাঁকুড়া জেলা পুলিশের ‘অঙ্কুর’ প্রকল্প প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার বলেন, বিষয়টিতে আমি প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছিলাম। স্কুলগুলিতে এভাবে শিক্ষক ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা হয়েছিল। পরে রাজ্য সরকার সিভিক ভল্যান্টিয়ারদের দিয়ে পঠন পাঠনের সিদ্ধান্ত বদল করেছে মানেই ওনারা ‘সিদ্ধান্তহীনতা’য় ভূগছেন বলে তিনি দাবি করেন।

Read also  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক শিক্ষাকে ভিত্তি করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের দুই হেভিওয়েটের লড়াই, Saying Mamata Banerjee's teaching Two TMC leaders of Hoogly targets themselves before Panchayat election

Source link