আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন করাটা সম্ভব হতে পারে। তবে অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে। এটা প্রাইমারি অ্যাজাম্পশন (প্রাথমিক অনুমান)।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের পত্রিকা’ অনুষ্ঠানে এ সম্ভাবনার কথা জানান আইন উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অনেকগুলো ধাপ রয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটি লাগবে। সার্চ কমিটি করতে হলে পিএসসির চেয়ারম্যান লাগবে। সেটার নিয়োগ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রথম কাজ হবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। সঠিক ভোটার তালিকা করতে হবে। নির্বাচনের জন্য এসব ধাপ চিন্তা করতে হবে।’
আসিফ নজরুল জানান, কিছুদিনের মধ্যে সার্চ কমিটি হবে। এরপর গঠন হবে নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, ‘আপনি নিশ্চয় ভুয়া নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচন করা হোক, সেটা চান না। নিশ্চয় কেউ চায়নি হাবিবুল আউয়াল কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেবে। এটা কেউ কল্পনাও করতে পারে না।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন হওয়ার পর প্রথম কাজ হবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। ফ্যাসিস্ট সরকার ২০২৪ সালের ভুয়া নির্বাচনের ভোটার তালিকা নিয়ে ব্যাপক অরাজকতা করেছিল।’
মতিউর রহমান চৌধুরীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা অনুসন্ধান করুন, ২০২৪ সালে ভোটার তালিকার নামে কী করা হয়েছিল। সুতরাং ভোটের আগে একটি সুষ্ঠু ভোটার তালিকা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন ছাড়া এ তালিকা তৈরির আদেশ কেউ দিতে পারে না। প্রধান উপদেষ্টার আদেশে ভোটার তালিকা হবে না। হবে নির্বাচন কমিশনের আদেশে।’