সন্তান লাভের প্রত্যাশায় এক নারী স্থানীয় এক কবিরাজের কাছে গেলে তিনি ধর্ষণের শিকার হন। বিয়ের তিন বছর পার হলেও সন্তান না হওয়ায় ওই নারী কবিরাজের শরণাপন্ন হন। কিন্তু চিকিৎসার নামে ঝাড়ফুঁকের সময় কবিরাজ তাকে ধর্ষণ করেন।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার এই ঘটনায় শনিবার (১৫ মার্চ) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।
অভিযুক্ত কবিরাজের নাম আব্দুল খালেক (৬৫)। তিনি উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের বড় বাজাইল গ্রামের নবিগঞ্জ বাজার এলাকার মৃত নসু খার ছেলে।
ভুক্তভোগী নারী (৩৬) স্বামীর সঙ্গে একই উপজেলায় বসবাস করেন। ঘটনার পর তিনি থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযুক্ত কবিরাজকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার নথি ও ভুক্তভোগীর বক্তব্য অনুযায়ী, আব্দুল খালেক নিজেকে একজন পরিচিত কবিরাজ হিসেবে পরিচিত করেছেন। তার ঝাড়ফুঁক ও ওষুধ গ্রহণ করলে সব ধরনের রোগ নিরাময় হয়—এমন প্রচারণা রয়েছে এলাকায়। সন্তান লাভের আশায় অনেকে তার কাছে যান। একই বিশ্বাসে ভুক্তভোগী নারীও তার কাছে যান এবং ১৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। ৮ মার্চ তিনি পুনরায় কবিরাজের বাড়িতে গিয়ে জানতে চান, কবে সন্তান হবে। এসময় কবিরাজ তাকে কৌশলে একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি থানায় অভিযোগ করেন।
মুক্তাগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই নারী মৌখিকভাবে ঘটনার বিবরণ দেন। এরপর রাতেই অভিযুক্ত কবিরাজকে আটক করা হয়। শনিবার লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। মামলার একমাত্র আসামি আব্দুল খালেক।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী নারীকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আব্দুল খালেককে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
