চট্টগ্রামের জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপের মঞ্চে ইসলামী ভাবধারার সংগীত পরিবেশনের ঘটনায় করা মামলার দুই শিল্পীর রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন আদালত। শুনানিতে বাদী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের হট্টগোলের কারণে বিব্রত হয়ে এজলাস থেকে নেমে যান বিচারক। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহ এর আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) হুমায়ুন কবির বলেন, মামলায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই আসামিকে ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তা বাতিলের আবেদন জানান। একই সঙ্গে জামিনের আবেদনও করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবীরা আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করেন। শুনানির সময় দুই পক্ষ তুমুল বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে একপর্যায়ে বিচারক রিমান্ড আবেদন বাতিলের আদেশ দিয়ে এজলাস থেকে নেমে যান।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী শামসুল আলম বলেন, আসামিরা পূজা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন। মঞ্চে ওঠার আগে তাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়। কোন ধর্ম অবমাননা হয়নি।
অপর দিকে বাদীপক্ষের সুজন দাস আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুরের দাবি জানান। তিনি বলেন, আসামিরা যে গান করেছেন, তাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন।এ হামলায় গ্রেপ্তার দুজন হলেন চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সদস্য শহীদুল করিম ও নুরুল ইসলাম। এ ঘটনায় গত শুক্রবার নগরের কোতোয়ালি থানায় মহানগর পূজা কমিটির অর্থ সম্পাদক সুকান্ত বিকাশ মহাজন বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে কমিটির যুগ্ম সম্পাদক (বহিষ্কার) সজল দত্তসহ সাতজনকে আসামি করা হয়।