প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘৫০৫০১’ নামে পরিচিত এই বিক্ষোভের অর্থ হচ্ছে ‘৫০টি রাজ্যে ৫০টি বিক্ষোভ, একটি আন্দোলন’। আয়োজকরা আমেরিকান রিভল্যুশনারি ওয়ার বা স্বাধীনতা যুদ্ধের ২৫০তম বার্ষিকীর সাথে মিলিয়ে এই বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছিলেন।
হোয়াইট হাউজের সামনে, টেসলা ডিলারশিপের কাছে এবং বিভিন্ন শহরের কেন্দ্রস্থলে জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা নানা ইস্যুতে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকে ভুলবশত এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো কিলমার আবরেগো গার্সিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক প্রতিবাদ একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে গত এপ্রিলে ‘হ্যান্ডস অফ’ নামে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ক্রমশ কমছে।
শনিবারের বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর মধ্যে সরকারি চাকরি কমানো এবং অন্যান্য খরচ কাটছাঁটের মতো সরকারি দক্ষতা বিষয়ক বিভাগের পদক্ষেপও রয়েছে।
এছাড়া, এল সালভাদরের আবরেগো গার্সিয়াকে ফেরত আনতে প্রশাসনের অনীহার বিষয়টিও এই বিক্ষোভে গুরুত্ব পেয়েছে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া গিহাদ এলজেন্ডি সিএনএনকে বলেন, গার্সিয়াকে ফেরত পাঠানোর প্রতিবাদে তিনি হোয়াইট হাউজের সমালোচনা করতে এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, ট্রাম্প সহজেই তাকে ফিরিয়ে আনতে চাপ প্রয়োগ করতে পারেন।
সমগ্র প্রতিবাদ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে ডেমোক্র্যাট দলের সুহাস সুব্রামানিয়াম সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে ট্রাম্পের সাইন নিয়ে একজন ব্যক্তি ধস্তাধস্তিতে জড়িত।
অনেক বিক্ষোভকারী ‘নো কিংস’ বা ‘কোনো রাজা নয়’ লেখা সাইন বহন করেছেন। এটি মূলত ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন বিপ্লবের বার্ষিকীর প্রতি সমর্থন। ম্যাসাচুসেটসে এই বার্ষিকীতে লেক্সিনটন ও কনকর্ডের যুদ্ধকে স্মরণ করা হয়। ৫০৫০১ বিক্ষোভ বোস্টনেও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
থমাস ব্যাসফোর্ড এপিকে বলেন, আমেরিকার স্বাধীনতার জন্য এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ সময়। তিনি তার সঙ্গী, মেয়ে ও দুই নাতিকে নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাই আমার ছেলেরা আমাদের প্রকৃত ইতিহাস জানুক, যে একসময় আমরা মুক্তির জন্য লড়াই করেছি।’
এদিকে, গ্যালাপের সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৪৫ শতাংশ ভোটার ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম চার মাসের কার্যক্রমকে সমর্থন করেন। তার প্রথম মেয়াদে এটি ছিল ৪১ শতাংশ।
