গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের ফলে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। এর পর থেকে তার গন্তব্য নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। সম্প্রতি দিল্লি ছেড়ে শেখ হাসিনা আরব আমিরাতে গেছেন বলে খবর চাউর হয়। তবে আজ মঙ্গলবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন।
তিনি দিল্লি ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে চলে গেছেন, এজাতীয় সব খবরকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা।
দিল্লি থেকে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি গত ৪৮ ঘণ্টায় বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তারা প্রত্যেকে নিশ্চিত করেছেন ‘শেখ হাসিনা এখানে গত সপ্তাহে যেভাবে ছিলেন, এই সপ্তাহেও ঠিক একইভাবেই আছেন!’
তিনি দিল্লিতে ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন তা ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কখনোই জানায়নি, কিন্তু সেই ‘লোকেশন’ যে গত কয়েক দিনের ভেতরে মোটেও পাল্টায়নি, সে কথাও জানানো হয়েছে।
দিল্লির সাউথ ব্লকে একটি উচ্চপদস্থ সূত্র বিবিসির কাছে এমনও বলেছেন, ‘যে পরিস্থিতিতেই আসুক না কেন, শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে ভারতের সম্মানিত অতিথি। তিনি যদি পরে তৃতীয় কোনো দেশে যানও, সেটা নিয়ে আমাদের লুকোছাপা করার তো কোনো কারণ নেই!’
ফলে শেখ হাসিনা গোপনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো কোনো দেশে পাড়ি দিয়েছেন, এসব ‘খবর’কে উপেক্ষা করতেই পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে গত কয়েক দিনে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা বক্তব্যের বিষয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে।
জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘উনার অবস্থান সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা দিল্লিতে খোঁজ করেছি, আমিরাতেও খোঁজ করেছি, কনফারমেশন অফিশিয়ালি কেউ দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, ‘আপনারাও যেমন দেখেছেন, আমরাও দেখেছি উনি আজমাইনে সম্ভবত গেছেন। কিন্তু এটা রিকনফার্ম করার চেষ্টা করেও আমরা সফল হইনি।’
শেখ হাসিনার ভারত ছাড়ার খবরের পর গতকাল সোমবার রাতে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, ‘আমার মা ভারত ছেড়ে গিয়েছেন বলে যে খবর শোনা যাচ্ছে, সেটি সঠিক নয়। তিনি এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন।