রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
নিহত শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি টেক্সটাইল ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং ২৩ বছর বয়সী এই তরুণের বাড়ি ময়মনসিংহে।
বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার জানান, শনিবার বিকাল ৪টার পর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ছুরিকাঘাতে টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ নিহত হন।
নিহতের মরদেহ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ও অন্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত রয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পেটে হাত দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পারভেজ একটি চেয়ারে বসে আছেন। তার চারপাশে কয়েকজন উদ্বিগ্ন হয়ে তার সাড়া পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
সহপাঠীরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু পথেই তিনি সাড়া দেওয়া বন্ধ করেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোশাররফ হোসেন বলেন, এটি একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা। থানায় অবস্থান করা প্রক্টর এ বিষয়ে এখনই আর কিছু বলতে চাননি।
টেক্সটাইল বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, শনিবার বিকালে ক্যাম্পাসের কাছে একটি দোকানে বন্ধুদের সাথে আড্ডার সময় ‘নারীঘটিত’ বিষয় নিয়ে পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বিভাগের এক জুনিয়র শিক্ষার্থীর সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। এরপর প্রক্টর অফিস দুই পক্ষকে ডেকে আলোচনা করে। কিন্তু সেখান থেকে বের হওয়ার পর ‘বহিরাগত’ ২৫-৩০ জন এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিঁড়িতে পারভেজকে বারবার ছুরিকাঘাত করে। রাত ১১টার দিকে পুলিশ কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এদিকে, শিক্ষার্থী খুনের খবরে বনানী ক্যাম্পাসের সামনে অন্য শিক্ষার্থীরা জড়ো হচ্ছেন। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশের ফেসবুক পোস্টে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ‘সন্ত্রাসী হামলায়’ পারভেজ হত্যার ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। পোস্টে তার একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়।
