২৬ মার্চ উপলক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে জিয়াউর রহমানের নাম না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানান।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জিয়া উদ্যানে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে আমি অত্যন্ত হতাশ হয়েছি। তিনি নির্বাচনের রোডম্যাপের বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা দেননি। স্বাধীনতার ঘোষক বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের নাম একবারও উচ্চারণ করেননি, অথচ এটিই প্রকৃত ইতিহাস।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই না আওয়ামী লীগ যে ইতিহাস বিকৃত করেছে, তা আবারও পুনরাবৃত্তি হোক। প্রকৃত সত্য উন্মোচন করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠাই বর্তমান সংকট সমাধানের উপায় বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার এই জাতির ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। হত্যা, গুম-খুনের মাধ্যমে জনগণের কণ্ঠ রুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। তবে, গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা আবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সুযোগ পেয়েছি। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম সংস্কার সম্পন্ন করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ঘোষণা দেবে।”
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত নির্বাচনের সময়সীমা (ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন) নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, “এটি কোনো স্পষ্ট রোডম্যাপ নয়। আমরা বারবার বলে আসছি, স্পষ্ট রোডম্যাপ ও দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন। তা না হলে বর্তমান সংকট কাটবে না। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, বরং জাতীয় স্বার্থ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রয়োজনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে।”
এসময় তিনি বিএনপি, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান।
