ভারতের কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় নির্মাতা গুরুপ্রসাদের গলিত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার অ্যাপার্টমেন্টের ড্রয়িং রুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তীব্র আর্থিক সংকটের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৫২ বছর বয়সী বিখ্যাত এ নির্মাতা।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (৩ নভেম্বর) বেঙ্গালুরুর মদনায়কানহল্লির নিজের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় মরদেহ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গত কয়েকদিন ধরে চলচ্চিত্র নির্মাতাকে বাড়ির বাইরে বেরোতে দেখেননি প্রতিবেশীরা। অ্যাপার্টমেন্ট থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকলে সন্দেহ হয় তাদের এবং তখন পুলিশে খবর দেন তারা। পুলিশ সদস্যরা এসে নির্মাতার গলিত দেহ উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে পড়ে কন্নড় চলচ্চিত্র পাড়ায়। ‘মাতা’, ‘এদেলু মঞ্জুনাথ’, ‘স্পেশাল’-এর মতো জনপ্রিয় ছবি পরিচালনা করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। তার সবশেষ প্রজেক্ট ‘আদেমা’র কাজ এখনও শেষ হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্থিক সংকট এবং ঋণ থেকে রেহাই পেতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন এ পরিচালক।
শুধু ক্যামেরার পিছনে নয়, ক্যামেরার সামনেও সমান স্বচ্ছন্দ্য ছিলেন গুরু। বেশ কিছু কন্নড় ছবিতে অভিনয় করেছেন এ পরিচালক। সম্প্রতি ফের বিয়েও করেছিলেন গুরুপ্রসাদ।
অন্যদিকে, এই পরিচালকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। কন্নড় বুকস্টোরের মালিক লক্ষ্মীকান্ত প্রয়াত পরিচালকের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার দাবি, ২০১৯ সালে কন্নড় সাহিত্য ও সিনেমা সম্পর্কিত নানান বই কিনেছিলেন তিনি। ১০০টি বইয়ের ওপর ছাড়ও দাবি করেছিলেন। ৭৫টি বইয়ের মোট ৫টি করে সেট কিনেছিলেন শিক্ষার্থীদের জন্য। সেই বইয়ের ৬৫ হাজার রুপি দাম মেটাননি এই নির্মাতা। এসময় আত্মীয় এবং পরিচিতদের সঙ্গে ফোনে পর্যন্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। সেই সঙ্গে বাসার ঠিকানা পর্যন্ত বদলে ফেলেন গুরুপ্রসাদ।