মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন করে সবার ঐকমত্যে জুলাই সনদ প্রণয়নের মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থায় একমত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই দলের নেতাদের বৈঠকে আটটি বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছানো হয়। সংলাপ শেষে দুই দল এসব বিষয় জানিয়েছে। বৈঠকে এনসিপির পক্ষে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি উপস্থিত ছিলেন।
খেলাফত মজলিসের পক্ষে মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ বলেন, ‘আমরা মৌলিক সংস্কারের বিষয়ে একমত হয়েছি। সবার ঐক্যমত্যে জুলাই সনদ প্রণয়ন এবং দ্রুত নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়া নিশ্চিত করার বিষয়েও কথা হয়েছে।’
খেলাফত মজলিসের প্রচার ও তথ্য সম্পাদক আবদুল হাফিজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঐকমত্যে পৌঁছানো দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৪-এর জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে, আহতদের সুচিকিৎসা ও পরিবারের পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিবন্ধন স্থগিত ও রাজনৈতিক-সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের সময়ের মতো জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে হবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান, শাপলা চত্বরে গণহত্যা, পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডসহ গত ১৫ বছরে গুম, খুন ও হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচার করতে হবে। আলেম-উলামা ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৪ টাকা বৃদ্ধি ও শিল্পখাতে নতুন গ্যাস সংযোগে ৩৩ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘ ও বিশ্ব সম্প্রদায়কে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতের মুসলিম ওয়াকফ সংশোধনী বিল বাতিল করে মুসলমানদের সম্পদ লুট ও ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস বন্ধ করতে হবে। ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
