শনিবার, জুন ৭, ২০২৫
প্রচ্ছদ্ধসংবাদজুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ জসীম উদ্দিনের কন্যা লামিয়ার আত্মহত্যা

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ জসীম উদ্দিনের কন্যা লামিয়ার আত্মহত্যা

spot_img
spot_img

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের জসীম উদ্দিন ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। তার ১৭ বছর বয়সী কন্যা লামিয়া, যিনি গত ১৮ মার্চ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ রাত ৯টার দিকে ঢাকার শেখেরটেক ৬ নম্বর রোডের বি/৭০ নম্বর বাড়িতে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

১৮ মার্চ ২০২৫ সন্ধ্যায় পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বাবার কবর জিয়ারত করে নানার বাড়ি (১ নম্বর ওয়ার্ড) যাওয়ার পথে নলদোয়ানী এলাকায় সাকিব মুন্সি (১৯) ও সিফাত মুন্সি (২০) লামিয়াকে অনুসরণ করে। তারা তার মুখ চেপে জলিল মুন্সির বাগানে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং নগ্ন ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানোর হুমকি দেয়। ১৯ মার্চ লামিয়া দুমকি থানায় মামলা করেন। পুলিশ সাকিবকে আটক করলেও সিফাত পলাতক। লামিয়াকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

লামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য ২৭ এপ্রিল মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় তিনি মা রুমা বেগমের সঙ্গে মার্কেটে কাপড় কিনেন। রাত ৮টার দিকে রুমা ছোট মেয়েকে মাদ্রাসায় দিতে যান। এ সময় লামিয়া গলায় ফাঁস দেন। স্থানীয়রা মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

লামিয়ার মামা সাইফুল ইসলাম জানান, দোকানে থাকার সময় খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ভাগনির মরদেহ দেখেন। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে তার বোন স্বামী হারিয়েছেন, এখন মেয়েকেও হারালেন। ধর্ষণ মামলার আসামিরা জামিনে মুক্ত। প্রতিবেশী জামিলা খাতুন জানান, মা-মেয়ে সন্ধ্যায় কেনাকাটা করেছিলেন। তারা ধারণা করেন, ফোনে হুমকির কারণে লামিয়া আত্মহত্যা করেছেন।

আদাবর থানার ওসি এসএম জাকারিয়া জানান, পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন
- বিজ্ঞাপন -

সর্বাধিক পাঠিত