বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রীতি সমাবেশে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও কালবেলা সম্পাদক সন্তোষ শর্মার উপস্থিতি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠলে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ও শিবিরের সাবেক সভাপতি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে একটি পোস্ট করেন। তবে পোস্টটি প্রকাশের কিছুক্ষণ পরই তিনি তা মুছে ফেলেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল ২০২৫) রেজাউল করিম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে যে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, তা নিম্নরূপ:
“সন্তোষ শর্মার সঙ্গে আমার কখনো সাক্ষাৎ হয়নি। সম্প্রতি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের এক অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্ক চলছে। এর মধ্যে সন্তোষ শর্মার বিভিন্ন বিতর্কিত ভূমিকার কথা প্রকাশ পাচ্ছে, বিশেষ করে এ দেশের সম্মানিত আলিম-ওলামাদের ওপর নির্যাতনের ক্ষেত্রে তার সম্পৃক্ততার বিষয়টিও। তবে ভালো হতো যদি ক্ষতিগ্রস্তরা আগেই তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতেন, তাহলে এমন ব্যক্তি আমাদের অনুষ্ঠানে আসার সুযোগ পেত না। আমরা আরও সতর্ক থাকতে পারতাম। এই অপ্রত্যাশিত ভুলের জন্য পুনরায় দুঃখ প্রকাশ করছি।
আজও আমি বলছি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও নেতাকর্মীরা জীবন উৎসর্গ করেছেন। জামায়াত তার নীতি, আদর্শ ও ঐতিহ্যের সঙ্গে কখনো আপস করেনি, ইনশাআল্লাহ করবেও না। কোনো ব্যক্তির আমাদের অনুষ্ঠানে উপস্থিতির কারণে জামায়াতের দীর্ঘদিনের অবদান ও ভূমিকাকে ছোট করার সুযোগ কি আছে? শুধু আবেগ নয়, বাস্তবতার আলোকে সমালোচনার আহ্বান জানাচ্ছি। আসুন, জুলাই অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনেও একসঙ্গে এগিয়ে যাই, ইনশাআল্লাহ।”
এই পোস্টটি সমালোচনার মুখে দ্রুত মুছে ফেলা হয়। সন্তোষ শর্মার উপস্থিতি নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক এবং রেজাউল করিমের পোস্ট মুছে ফেলার ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
