সোমবার, আগস্ট ১৮, ২০২৫
প্রচ্ছদ্ধখেলাচিটাগং কিংসকে ৪৬ কোটি দিতে হবে বিবিসিকে

চিটাগং কিংসকে ৪৬ কোটি দিতে হবে বিবিসিকে

spot_img
spot_img

বিপিএলের পুরনো কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে বকেয়া আদায়ে দীর্ঘ সময় ধরে কোর্ট অব আরবিট্রেশন পরিচালনা করছে বিসিবি। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস, বরিশাল বুলস, খুলনা টাইগার্স ও চিটাগং কিংসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো বকেয়া রেখে বিদায় নেয় বিসিবি থেকে। এদের কাছ থেকে পাওনা আদায়ে আইনি পথেও কোনো সুফল পায়নি বোর্ড।

বরং আরবিট্রেশন পরিচালনায় বিসিবিকে প্রতি বছর মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে হচ্ছে। চিটাগং কিংসের মালিক এস.কিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজের পেছনে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে, যাদের কর্ণধার সামির কাদের চৌধুরীর কাছে বিসিবি বিশাল অঙ্কের টাকা পাবে। ২২ জুলাই প্রতিষ্ঠানটিকে দেওয়া নোটিশে ৩৭ লাখ ৮২ হাজার ১৫৬ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৬ কোটি ১৪ লাখ) বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০১২ ও ২০১৩ সালে চিটাগং কিংসের মালিক ছিলেন সামির কাদের। তিনি স্থানীয় ও বিদেশি খেলোয়াড়দের প্রাপ্য অর্থ বকেয়া রাখায়, তা পরিশোধ করতে হয় বিসিবিকে। সেই সময় বিসিবি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৬৪ ডলার (১৮ কোটি ৯১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা) পরিশোধ করেছিল। এরপর থেকে ১০ বার নোটিশ দিয়েও সাড়া না পেয়ে বিসিবি শেষমেশ আরবিট্রেশন প্রক্রিয়ায় যায়।

দীর্ঘ ১০ বছর পরও সমাধান হয়নি। শেষমেশ ২০২৪ সালে বিসিবির তৎকালীন সভাপতি ফারুক আহমেদ সাড়ে তিন কোটি টাকায় সমঝোতায় পৌঁছান সামির কাদেরের সঙ্গে। তিন কিস্তিতে ২০ নভেম্বরের মধ্যে অর্থ পরিশোধের শর্তে ২০২৫ বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে অর্থ পরিশোধ না করেই আবারও খেলোয়াড়দের অর্থ বাকি রেখে বিপিএলকে বিতর্কিত করেন সামির। ফলে বোর্ডের পরিবর্তিত নেতৃত্ব সমঝোতা বাতিল করে, সুদসহ ৪৬ কোটি টাকা দাবি করে ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান ২২ জুলাই নতুন নোটিশ পাঠান।

নোটিশ হাতে পেয়ে আইনি জবাবে সামির ফের সমঝোতার প্রস্তাব দেন। তবে তার মতে বিসিবি অযৌক্তিক দাবি তুলেছে। তার ভাষ্য, ‘২০২১ সালে বিসিবি ৯ কোটি ৮১ লাখ টাকার দাবি করেছিল। সাবেক সভাপতি বলেছিলেন ৫ কোটিতে সমঝোতা করা যাবে। পরে সাড়ে তিন কোটিতে চূড়ান্ত হয়। তিনি বলেছিলেন, বিপিএল শেষে টাকা পরিশোধ করতে। এখন তারা সুদসহ অস্বাভাবিক টাকা দাবি করছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।’

তবে চিটাগং কিংস মালিকের আশাবাদ, সমঝোতার মাধ্যমে তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজি ধরে রাখতে পারবেন, ‘আমি তো সমঝোতার পথে গেছি। অন্যরা তো সাড়া দেয়নি। আশা করি, শেষ পর্যন্ত সমাধান হবে এবং আমি বিপিএলে ফিরতে পারব।’

বিসিবির এক পরিচালক বলেন, ‘এখন ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। বকেয়া শোধ করলেই গভর্নিং কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি থাকতে পারবে কি না।’ এখন দেখার বিষয়— বিসিবির দাবি আদায় হয় কিনা।

আরো পড়ুন
- বিজ্ঞাপন -

সর্বাধিক পাঠিত